রাশিয়া পরপর দুই রাত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে নগরীর সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে। কয়েক সপ্তাহ বিরতির পর রোববারের প্রথম দিকে আক্রমণ আরও জোরালো করেছে মস্কো।
টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো বলেছেন, ‘একসঙ্গে অনেকগুলো ইউএভি (মানবহীন আকাশযান) দিয়ে আক্রমণ করেছে শত্রুরা। কিয়েভের চতুরদিক থেকে এক ঝাঁক ড্রোন দিয়ে লাগাতার হামলা করা হয়।’
এ কারণে রাজধানীতে একাধিকবার বিমান হামলার সতর্কতাও ঘোষণা করা হয় বলে জানিয়েছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলেছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিয়েভ, পোলতাভা ও চেরকাসি অঞ্চলে রাশিয়ার ছোড়া ২০টি শাহেদ কামিকাজ ড্রোনের মধ্যে ১৫টি ধ্বংস করেছে। গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের প্রাথমিক কোনো খবর পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি কিয়েভ ও এর উপকণ্ঠে প্রায় ১০টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
চেরকাসির গভর্নর ইহোর তাবুরেৎস টেলিগ্রামে বলেছেন, ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে পাঁচটি বাড়ি সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তবে কেউ আহত হয়নি। কিয়েভ অঞ্চলের গভর্নর রুসলান ক্রাভচেঙ্কো বলেছেন, এই অঞ্চলে একটি অবকাঠামোগত বস্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাশিয়া ২০২২ সালের অক্টোবরে ইউক্রেনের শক্তি, সামরিক ও পরিবহন অবকাঠামোতে হামলা চালাতে শুরু করে। মস্কোর সৈন্যরা রাজধানী দখল করতে ব্যর্থ হওয়ার ছয় মাস পরে পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেন থেকে তারা সেনা প্রত্যাহার করে।
গত শীতে রাশিয়া শত শত ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছিল। শীতের আগে দেশটির একাধিক সুবিধায় হামলা চালিয়ে লাখ লাখ বসিন্দাকে বিদ্যুৎ, তাপ ও পানি বিচ্ছন্ন করে রেখেছিল।
৫২ দিনের বিরতির পর মস্কো চলতি মাসে কিয়েভে আবার বিমান হামলা শুরু করে। শনিবার ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, কিয়েভের দিকে যাওয়া সবস্ত ড্রোন ধ্বংস হয়ে গেছে তবে কিছু ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনের অন্য জায়গার অবকাঠামোগত সুবিধাগুলোতে হামলা করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, শীতের সময়টায় ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামোতে পুনরায় বড় আকারের বোমাবর্ষণ শুরু করবে রাশিয়া।