সাগরে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা শেষে চট্টগ্রামের অদূরে বঙ্গোপসাগরে ও সমুদ্র উপকূলে ইলিশ মাছ ধরার হিড়িক পড়েছে।
সামুদ্রিক মাছের মধ্যে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের দিকেই সবার নজর। ঝাটকা নিধন রোধে দীর্ঘ ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার পর সমুদ্রে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ায় খুশি ট্রলার মালিক, জেলেসহ সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (২৫ জুলাই) সরেজমিনে ফিশারীঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নৌকাভর্তি ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরছে জেলেরা। মাছ ভর্তি ট্রলার পাড়ে ভিড়লে শুরু হয় জেলেদের হাঁক-ডাক। তারপর চলে কেনাবেচা। মাছবাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। প্রতি ট্রিপে প্রায় ৩ থেকে ৬ লাখ টাকার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। এসব ইলিশ ফিশারীঘাট মৎস্য আড়ৎ থেকে রপ্তানীকারকরা ট্রাকে করে দেশের বিভিন্নস্থানে বাজারজাতের উদ্দেশ্যে পাঠানো হচ্ছে।
আড়তদাররা জানায়, ফিশারিঘাটে ছোট-বড় মাছ প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৬ হাজার টাকায়। এছাড়া বড় আকারের ইলিশের মণ প্রতি ২৫ হাজার থেকে ২৯ হাজার টাকা। ৩০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি পাঁচশ থেকে ছয়শো টাকায়।
ট্রলারের মাঝিরা জানান, সাগরে এখন প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছে। প্রায় প্রতিটি ট্রলারেই অল্প করে জাল ফেললেই মিলছে মাছ। কম করে হলেও তিন হাজারের মতো মাছ ধরা পড়ছে প্রতিটি ট্রলারে। এসব মাছের মূল্য বাজারে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা।
মাঝিরা অভিযোগ করে জানান, ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় সুযোগ পেয়ে ভারতীয় ট্রলারগুলো বাংলাদেশী সীমানায় এসে মাছ ধরেছে। তারা বলেন, এই অবরোধ যদি ভারতের সাথে একই সময়ে দেয়া হতো তাহলে আরো বেশী মাছ ধরা পরতো।
ফিশারীঘাটের আড়তদার জানান, ইলিশের ভরা মৌসুম এটি। বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রামের কাট্টলী, সীতাকুন্ড ও পতেঙ্গাসহ বিভিন্ন উপকূলে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ। যেসব ইলিশ ধরা পড়ছে সেগুলো ফিশারীঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া অনেক ক্রেতা নিজেরা গিয়েই নৌকা থেকে মাছ কিনে নিচ্ছেন। এতে জেলেরা মাছ বিক্রি করে নগদ টাকা পাচ্ছেন।