চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি মদের আরও দুটি চালান আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে তিন দফায় বিদেশি মদের পাঁচটি চালান আটক করলো চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) সিএফএস শেডে মদের দুটি পৃথক চালান বোঝাই কনটেইনার আটক করেন কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিচার্স (এআইআর) ও পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট (পিসিইউ) শাখার কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার উপ কমিশনার সাইফুল হক জানান, চালান দুটির মধ্যে একটি এসেছে নীলফামারির উত্তরা ইপিজেডের ডঙ জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল (বিডি) লিমিটেডের নামে। ওই চালানে সিনথেটিক প্লাস্টিকজাত পণ্য তৈরির কাঁচামাল পলিপ্রপিলিন রেজিন আমদানির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। গত রোববার একই প্রতিষ্ঠানের নামে আনা আরেকটি মদের চালান কাস্টমসের এআইআর শাখার কর্মকর্তারা বন্দরের ৫ নম্বর ইয়ার্ডের ১৩ নম্বর শেডে অভিযান চালিয়ে আটক করেছিল।
কাস্টমসের আরেক ডেপুটি কমিশনার সালাউদ্দিন রিজভী জানান, সোমবার আটক করা আরেকটি চালান বাগেরহাটের মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের নামে এসেছে। চালানটি টেক্সটাইল সুতা আমদানির ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।
জানা গেছে, সোমবার আটক হওয়া চালান দুটি খালাসের জন্য কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়নি। এজন্য খালাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া যায়নি।এর আগে রোববার আটক করা কনটেইনারটি খালাসের দায়িত্বে ছিল নগরীর ডবলমুরিংয়ের জাফর আহমদ নামে একজনের মালিকানাধীন সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান। একই সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান গত শুক্রবার রাতেও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বিদেশি মদের দুইটি চালান খালাস করে নিয়ে যায়। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অভিযান চালিয়ে শনিবার কাস্টমস কর্মকর্তারা মদের সেই দুটি চালান আটক করেন।
কুমিল্লা ইপিজেডের হাসি টাইগার কোম্পানি লিমিটেড মেশিনারি এবং পাবনার ঈশ্বরদীর বিকেএইচ টেক্সটাইল লিমিটেডের নামে সেলাই মেশিনের ববিন ঘোষণা দিয়ে চালান দুটি আমদানি করা হয়েছিল। চালান দুটিতে ১ হাজার ৩৩০ কার্টনে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩১ হাজার ৬২৫ দশমিক ৫ লিটার বিদেশি মদ পাওয়া যায়। এর শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
পণ্য চালান দুটিতে মিথ্যা ঘোষণায় ২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছে। গত দুইদিনে আটক তিনটি চালানে বিদেশি মদের পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তারা।