পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বুধবার আটক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জামিনের আবেদন গ্রহণ করেছে বলে তার আইনজীবী বলেছেন। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের অভিযোগে অন্য একটি আদালত তার বিচারকে অবৈধ ঘোষণা করার একদিন পর আবেদন গ্রহণ করা হয়।
সাবেক ক্রিকেট তারকা জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় বিভিন্ন আইনি লড়াই লড়ছেন এবং ৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচনের প্রচারে তার দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি করার জন্য ৭১ বছর বয়সী ইমরান খানকে ৫ আগস্ট তিন বছরের জেল দেওয়া হয়েছিল। তার আইনজীবী বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট জামিনের জন্য বিড গ্রহণ করেছে।
আইনজীবী নাঈম পাঞ্জুথা টুইটারে বলেছেন, ‘উভয় পক্ষের যুক্তির পর পরবর্তী শুনানিতে একটি সিদ্ধান্ত আসবে।’
শুনানির জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আবেদনের বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে ইনপুট চাইবে।
পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হারার পর ২০২২ সালে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিরোধের কারণে তিনি ক্ষমতা হারিয়েছেন বলেও বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন ইমরান খান।
যদিও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না ইমরান খান। তাকে সাজামুক্ত হতে হবে। তবে তার দল নওয়াজ শরিফের দলের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হবে।
কিন্তু সংবিধানে যাই লেখা থাকুক। পাকিস্তানে দণ্ডপ্রাপ্ত নেতাদের বার বার ক্ষমতায় ফিরে আসার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এছাড়া, জন্মলগ্ন থেকেই দেশটির প্রভাবশালী সেনাবাহিনী সেখানে রাজনীতিতে বড় খেলোয়াড়। ১৯৯৯ সালের অভ্যুত্থানে প্রথম ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন নওয়াজ পরে আবার ক্ষমতায় আসেন এবং ২০১৭ সালে আদালতের রায়ে ফের ক্ষমতাচ্যুত হন।