গলে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৭৮ রানে অল-আউট হয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৯১ রান করেছে পাকিস্তান। ৩ উইকেট হাতে নিয়ে সফরকারীরা এখন ১৮৭ রানে পিছিয়ে। প্রথম দিন ৬ উইকেটে ৩১৫ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা।
উইকেটরক্ষক-ব্যাটার নিরোশান ডিকাভেলা ৪৩ বলে ৪২ ও দুনিথ ওয়েললাগে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
দ্বিতীয় দিনের চতুর্থ ওভারেই প্রথম উইকেট শিকার করে পাকিস্তান। ওয়েললাগেকে ১১ রানে থামিয়ে দেন পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহ। টেস্ট ক্যারিয়ারের ২২তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে ৫১ রানে থামেন ডিকাভেলা। তাকেও শিকার করেন নাসিম। তার ৫৪ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ১টি ছক্কা। শ্রীলঙ্কার শেষ ২ উইকেট দ্রুত তুলে নিতে মরিয়া ছিল পাকিস্তান। কিন্তু তাদের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান রমেশ মেন্ডিস। নবম উইকেটে প্রবাথ জয়সুরিয়াকে নিয়ে ২০ রান যোগ করে দলের স্কোর সাড়ে ৩শ পার করেন।
শেষ উইকেটে আসিথা ফার্নান্দোকে নিয়ে আরও ২৫ রান তুলেন রমেশ। দুই জুটিতে রমেশের অবদান ছিল ৩২ রান । ফলে ৩৭৮ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। শেষ ব্যাটার হিসেবে পাকিস্তানের স্পিনার ইয়াসির শাহর বলে আউট হন ৫২ বলে ৪টি বাউন্ডারি এবং ১ ছক্কায় ৩৫ রান করা রমেশ। জয়সুরিয়া ৮ ও আসিথা ৪* রানে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের নাসিম ও ইয়াসির ৩টি করে উইকেট নেন।
মধ্যাহ্ন-বিরতির আগ মুর্হূতে নিজেদের ইনিংস শুরু করে পাকিস্তান। দ্বিতীয় বলেই তারা হোঁচট খায়। আগের ম্যাচের নায়ক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক খালি হাতে ফিরেন। শিকারী ছিলেন আসিথা। শুরুর ধাক্কাটা সামাল দিয়েছেন আরেক ওপেনার ইমাম উল হক ও অধিনায়ক বাবর। ৩৫ রান যোগ করে তারা বিচ্ছিন্ন হন। ১৬ রান করা বাবরকে থামান জয়সুরিয়া। উইকেটে সেট হয়ে ৩২ রানে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে আউট হন ইমাম।
এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং ফাওয়াদ আলম (২৪) ও মোহাম্মদ নাওয়াজকে (১২) ফিরিয়ে পাকিস্তানের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেন স্পিনার রমেশ। ১৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বড় ধরনের চাপে পড়ে পাকিস্তান। সালমান ও ইয়াসির সপ্তম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সালমান। তাতে দিনের শেষটা বিপদ ছাড়াই শেষ করার পথে ছিল পাকিস্তান। কিন্তু ১২৬ বলে ৬২ করা সালমান জয়াসুরিয়ার শিকার হলে দিনের খেলার সমাপ্তি টানা হয়। রমেশ ৩টি ও জয়সুরিয়া ২ উইকেট নেন।