আগামী নভেম্বরের পর দেশে আর কাউকে সরকারিভাবে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ দেওয়ার কর্মসূচি চলবে।
আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব শামসুল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য সরকারের হাতে যে টিকা আছে তার মেয়াদ শেষ হবে নভেম্বরে।
নভেম্বরের পর আমাদের হাতে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য টিকা থাকছে না। আমাদের হাতে এখনো বুস্টার ডোজের জন্য প্রচুর টিকা আছে। আরো টিকা আনার ব্যবস্থা করা আছে। এ কারণে নভেম্বরের পর আমরা শুধু বুস্টার ডোজ দেব। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা থাকবে না। ‘
শামসুল হক বলেন, এ পর্যন্ত ৩০ কোটি ডোজের বেশি টিকা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ মিলিয়ে টিকা দেওয়া হয়েছে ২৮ কোটি ৮৫ লাখ ডোজ। স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে এখন টিকা আছে এক কোটি ৯৩ লাখ ডোজ।
তিনি বলেন, দেশে এখনো ৩৩ লাখ মানুষ প্রথশ ও ৯৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেননি। তবে বুস্টার ডোজের টিকার পর্যাপ্ত মজুদ আছে।
শামসুল হক আরো বলেন, টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের গড়িমসি লক্ষ করা গেলেও বুস্টার ডোজ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এখনো সাড়ে ছয় কোটি মানুষ বুস্টার ডোজ নেননি। টিকা গ্রহণে মানুষের সাড়াও কম মিলছে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১৩ কোটি ২৯ লাখ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিল। সেখানে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৯৬ লাখ মানুষ।