প্রায় দুই দশক আগে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ নামের সঙ্গে যুক্ত করেন মিস ইউনিভার্স শ্রীলঙ্কার খেতাব। সে সময় বেশ গর্বের সঙ্গেই নিজ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। এরপর থেকে অবশ্য নানা সময় কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়ে চলছেন এই অভিনেত্রী।
ক্যারিয়ারের শুরুতেই মুখে সার্জারি করে নেতিবাচক আলোচনায় আসেন তিনি। যদিও সেই সামালোচনাকে পাত্তা না দিয়ে বলিউড যাত্রা শুরু করেন জ্যাকুলিন। তবে সার্জারি করে চেহারা পাল্টানোর দাবিকে বরাবরই অস্বীকার করেন তিনি। কিন্তু নেটিজেনরা এখনও মনে করেন বলিউডে জায়গা তৈরি করার প্রথম সিঁড়ি হিসেবে নিজের সার্জারি করেছিলেন এই তারকা।
এরপর অবশ্য তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক নতুন সিনেমায় নিজের অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ দেন জ্যাকুলিন। পোক্ত জায়গা তৈরি করেন বলিউডে। অনেকেরই ধারণা ছিল বলিউডের সেরা তারকাদের তালিকায় নাম ওঠানো এই নায়িকা একদিন শীর্ষ তারকার তকমা নিজের করে নেবেন। অথচ মাঝপথে যেন নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারেন এই অভিনেত্রী।
করোনাকালীন সুপারস্টার সালমানের সঙ্গে প্রায় দু-বছর তার খামারবাড়িতে একসঙ্গে বাস করে সমালোচকদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। সে সময় সালমানের সঙ্গে তার বসবাস ভালো চোখে দেখেননি অনেকেই। নেটদুনিয়ায় যা নিয়ে রীতিমতো ট্রলের বন্যা বয়ে যায়। মূলত সে সময়ই ক্যারিয়ারের পালে উল্টো হাওয়া লাগে জ্যাকুলিনের। কিছুদিন যেতে যেতেই তার নাম জড়িয়ে পড়ে অর্থ কেলেঙ্কারিতে।
সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে আর্থিক দুর্নীতির কাণ্ডে নাম জড়িয়ে রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। ২০০ কোটি টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগে থানায় হাজিরা দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এমনকি বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। হাতছাড়া হতে থাকে একের পর এক সিনেমা, প্রজেক্ট! অনেকেই ধারণা করছিলেন, এবার হয়তো সত্যি সত্যিই চোখের সামনে নিজের পতন দেখতে যাচ্ছেন জ্যাকুলিন।
তবে বরাবরের মতোই সমালোচনাকে দুমড়ে মুচড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। এর মাঝেই আদালত তার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে সেই পথও যেন আরও সহজ হয়ে যায়। আইনি ঝামেলা থেকে কিছুটা মুক্ত হতেই বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সিনেমায় যুক্ত হয়ে চমকে দেন সবাইকে।
শুধু তাই নয়, হলিউড সিনেমায় সেলেনা গোমেজের মতো অভিনেত্রীর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার নিয়েও আলোড়ন সৃষ্টি করেন তিনি। এছাড়াও ‘ফতেহ’সহ একাধিক আলোচিত বলিউড সিনেমা দিয়ে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে চাচ্ছেন তিনি। বলা চলে, নেতিবাচক আলোচনাকে কীভাবে পেছনে ফেলতে হয় সেই সূত্র বেশ ভালোভাবেই রপ্ত করেছেন জ্যাকুলিন।