সময়ের পরিক্রমায় রফিক-পাইলটদের জায়গায় বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন সাকিব-তামিমরা।দেশের ক্রিকেটকে আজ পর্যন্ত টেনে এনেছেন তারাই।বিশ্ব ক্রিকেটকে নতুন এক বাংলাদেশের সঙ্গে পরিচয় করে দিয়েছিলেন চার তরুণ সাকিব আল হাসান,তামিম ইকবাল,মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।মাশরাফিকে নিয়ে পঞ্চপাণ্ডব খেতাবও পেয়েছে তারা।
এখন সময় এসেছে তাদের অনুপস্থিতিতে নতুন এক বাংলাদেশকে পরখ করার।মাশরাফি অনেক আগেই বিদায় বলেছেন টি-টোয়েন্টিকে।তামিম ইকবাল সংক্ষিপ্ত সংস্করণকে গুড বাই জানিয়েছেন।এদিকে বাকি তিন পাণ্ডবকে বিশ্রাম দিয়ে বিসিবি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিসিবি নতুন এক বাংলাদেশকে পরখ করে দেখতে চাইছে।প্রথমবারের মতো তাদের ছাড়া কোনো সিরিজ খেলবে টাইগাররা।নতুন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।মঙ্গলবার রাতে জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে শেখ মেহেদী বলেন,পরিবারে যখন ছোট থাকেন,তখন বেড়ে ওঠার জন্য বাবা-মা-ই সব দায়িত্ব নেন।প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেন।এই সিরিজ থেকে নিজেরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারব,যেহেতু সিনিয়ররা নেই। তারা এতদিন বাংলাদেশের ক্রিকেটের মা-বাবা ছিলেন বা অভিভাবক হিসেবে ছিলেন।
সিনিয়র ক্রিকেটারদের ছাড়া নিজেদের প্রমাণ করার বড় সুযোগ পেতে যাচ্ছেন তরুণরা।তাছাড়া টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে টানা হারে বিপর্যস্ত একটা দলকে কতটা এগিয়ে নিতে পারেন তরুণরা সেটাও প্রমাণের বিষয়।যদিও মেহেদী মনে করছেন প্রমাণের কিছু নেই।
তিনি বলেন,প্রমাণ করার আসলে কিছুই নেই,একটা সময় তো সিনিয়র ক্রিকেটাররা থাকবেন না।আমাদের ব্যাচ থেকে অনেকেই সিনিয়র হয়ে যাবে।সাকিব ভাই,তামিম ভাই,রিয়াদ ভাইরাও একসময় জুনিয়র হয়ে খেলছিলেন। ২০১১ বিশ্বকাপে সাকিব ভাই ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন,তখন তার বয়স ছিল ২২ বছর।ওখান থেকে খেলতে খেলতে এই পর্যায়ে এসেছেন।এখন যে তরুণ দল আছে,সময় লাগবে।