কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে আপিল করেছেন ওই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান। আজ শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে নিজের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আপিল করার সময় চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের আপিলও করেন তিনি। মুজিবুল হক চুন্নু এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য।
এর আগে মনোনয়নপত্র জমা শেষে বাছাইয়ে এ আসনে জাতীয় পার্টির মহাসচিবের মনোনয়নপত্র বৈধ ও নাসিরুলের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। ফৌজদারি মামলা থেকে অব্যাহতির কাগজ দেখাতে না পারায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইসি।
অভিযোগে নাসিরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, রূপালী ব্যাংক পুরানা পল্টন, কর্পোরেট শাখা থেকে পাঁচ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণের বিপরীতে গ্যারান্টার মজিবুল হক দীর্ঘদিন খেলাপি আছেন। অতএব সে কিভাবে এমপি মনোনয়নের জন্য আবেদন করতে পারে। তার মনোনয়ন আইন মোতাবেক বাতিলযোগ্য।
তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট গোপন করে মনোনয়নের জন্য কাগজপত্র দাখিল করেছেন চুন্নু, যার জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত হওয়া দরকার।
বৈধ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আপিল হলে কমিশন তা বিবেচনায় নেবে কি না- এ প্রসঙ্গে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে বলেন, অবশ্যই, আইনে আছে, এবার আরপিও সংশোধন হয়েছে। আগে ছিল রিটার্নিং অফিসারের রিজেকশনের বিরুদ্ধে আপিল। আরপিওতে আছে, শুধু রিটার্নিং অফিসারের রিজেকশন না, রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। যেহেতু আইনে আছে, কমিশন যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে।