আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ অযাচিত, অযৌক্তিক ও স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছে এমনটি দাবি করে জাতিসংঘ মহাসিচবকে চিঠি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। এ সমস্যা উত্তরণে জাতিসংঘকে গঠনমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ২০ নভেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিবের অফিসের প্রধান আর্ল কোর্টনে র্যাট্রের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এই আহ্বান জানান। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে এই চিঠিটি মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের নির্বাহী কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন লিখেছেন, আমরা আশা করি- জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সংস্থাটির গ্রহণযোগ্যতা ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রেখে নিরপেক্ষ, সততা ও বস্তুনিষ্ঠতার সর্বোচ্চ মানদণ্ড মেনে চলবে।
যদি তাদের প্রতিবেদনগুলো মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে ও বস্তুনিষ্ঠতার অভাব থাকে এবং যদি সঠিক তথ্য-উপাত্ত নির্ভর না হয় তাহলে তারা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে পারে। যা জাতিসংঘের জন্য একটি খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে চিঠিতে বলেন তিনি।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে করে বাংলাদেশ যৌক্তিক, অযাচিত ও স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছে উল্লেখ করে চিঠিতে মোমেন লিখেছেন, এমন প্রেক্ষাপটে এদেশের রাজনৈতিক উন্নয়নে গঠনমূলক এবং সহযোগিতাপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যা বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিপথে অবিচল থাকতে সহায়তা করবে।
শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার পক্ষে শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে জাতিসংঘ তার অবস্থান ধরে রেখেছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রগতি ও জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে চিঠিতে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
এছাড়াও, জাতিসংঘ ও তার সব অঙ্গসংগঠন ও সংস্থা জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবার জন্য একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রগতিশীল ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য অংশীদারের ভূমিকা অব্যাহত রাখবে বলে চিঠিতে যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘গণতন্ত্রের ক্রুসেডার’ উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বিক্ষোভের নামে বিরোধীরা সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি পোড়ানো এবং মানুষকে পুড়িয়ে মারা তিনি সহ্য করবেন না।
১৫ বছরে ক্ষমতায় থাকাকালীন শেখ হাসিনা হাজার হাজার উপ-নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচন, আঞ্চলিক নির্বাচন ও মেয়র নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সবগুলো নির্বাচনই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ছিল বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।