পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা আগামী মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর খবরে পণ্যটির দাম বাড়াতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল শুক্রবার রাতেই কেজিতে ২০-৪০ টাকা দাম বাড়ানো হয়। এরপর আজ শনিবার সকাল থেকে পেঁয়াজের বাজারে রীতিমতো আগুন লেগেছে। দুপুরের পরে দেশের কোথাও কোথাও পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মুহূর্তেই বেড়ে যাচ্ছে পেঁয়াজের দাম।
গত কিছুদিন ধরেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের বাজার অস্থির। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের খুচরা দর সর্বোচ্চ ৬৫ টাকায় নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু এ দরে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায়নি। পরে সরকার পেঁয়াজ আমদানি উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এরপরও পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
সম্প্রতি ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয় জানায়, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলারের সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। এর আগে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ২৯ অক্টোবর প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের দেশে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর কাওরানবাজার, মিরপুর, রায়ের বাজারসহ বেশকিছু খুচরা দোকান ঘুরে দেখে, একেক বাজারে বিক্রেতারা পেঁয়াজের একেক রকম দাম রাখছেন। বেশিরভাগ বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম রাখা হচ্ছে মানভেদে ১৬০ থেকে ১৯০ টাকায়। এছাড়া চীন থেকে আমদানি করা বড় আকারের পেঁয়াজের দাম পড়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।
খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ভারত রপ্তানি বন্ধের কারণে এক শ্রেণির অসৎ ব্যবসায়ী এর সুযোগ নিচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন যেসব পেঁয়াজ বাজারে আসছে, দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা রাতারাতি একযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ শুক্রবার বলেন, চলতি মাসে বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠলে দাম কমবে। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতেই নতুন পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হবে। ‘কারসাজি চক্র’ সব সময়ই সুযোগ খোঁজে পণ্যের দাম বাড়ানোর। তবে আমরা বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে কারসাজি বন্ধে অভিযান জোরদার করবো।