মিয়ানমারে চার গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় দেশটির সরকারের প্রতি চাপ বাড়াতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, আমরা বিশ্বের সব দেশকে এ বিষয়ে আরও পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই। সাথে সাথে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণে আরও বেশি চেষ্টা করবো। মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকবে না। আর বিশ্বের সব দেশকে মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের সরকারের আয় বন্ধে সবকিছু করার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, চীন অন্য কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করে না। মিয়ানমারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে জানতে চাইলে ঝাও লিজিয়ান বলেন, মতপার্থক্য নিরসনে মিয়ানমার তাদের আইন ও সংবিধান অনুসরণ করতে পারে।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন কিয়াও মিন উ, তিনি কো জিমি নামেও পরিচিত। এছাড়া আইনপ্রণেতা পাইও জেয়াকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত বছর সেনা অভ্যুত্থানের পর এসব বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। রুদ্ধদ্বার আদালতের বিচারে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। মানবাধিকার গ্রুপগুলোর দাবি এই বিচার অন্যায্য।
পাইও জেয়া এবং কো জিমি গত জুনে দণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিলে হেরে যান। এছাড়া অন্য দুই বিক্ষোভকারী হ্লা মিয়ো অং এবং অং থুরা জাও সম্পর্কে কম জানা যায়। জান্তা সরকারের তথ্যদাতা হিসেবে অভিযুক্ত এক নারীকে হত্যার দায়ে তাদের দণ্ড দেওয়া হয়।
মানবাধিকার গ্রুপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, মিয়ানমারে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একশ’র বেশি মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার এসব দণ্ডের নিন্দা জানিয়ে আসছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউ জিল্যান্ড, নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক যৌথ বিবৃতিতে এগুলোকে ‘নিন্দনীয় সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড যা মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের প্রতি শাসনের অবহেলার উদাহরণ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।