আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪-দলীয় জোটের শরিকদের সাতটি আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে সে তালিকায় নেই তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটাই চূড়ান্ত নয়। আমরা জানি, আমরা আছি।’
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তরিকত ফেডারেশনের জন্য কোনো আসন ছাড়ের ঘোষণা না থাকলেও নজিবুল বশর বলেন, ‘৪ ডিসেম্বর আমরা গণভবনে যাই। আমাকে ৪ ডিসেম্বরই বলে দেওয়া হয়েছিল। সেদিন ওবায়দুল কাদের সাহেব প্রকাশ্যে কয়েকজনের নাম বলে দিয়েছিলেন। বাকিগুলো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমি জানি আমারটা আছে।’
আপাতত জোটের সাতটি আসনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এটি চূড়ান্ত নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘৪ ডিসেম্বর জোটের সবার সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে তরীকত ফেডারেশনকে অন্তত দুটি আসন দেওয়ার কথা হয়। সভায় তাৎক্ষণিক ১৪–দলীয় জোটের রাশেদ খান মেনন, ফজলে হোসেন বাদশা, হাসানুল হক ইনু, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও আমার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।’
‘প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ওই দুটি আসনই আমাদের দেন। সাতটা কৌশলের কারণে দিয়েছেন। আমারটা কেন দেননি, সেটা তারাই বলতে পারবেন’ বলেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান।
এদিকে নজিবুল বশরের চট্টগ্রাম-২ আসনে নৌকার প্রার্থী করা হয়েছে ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ারকে। এছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর ভাতিজা ও সম্প্রতি নিবন্ধন পাওয়া বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী।
সূত্রে জানা গেছে, আসনটিতে সাইফুদ্দিন আহমদকে ছাড় দিতে পারে আওয়ামী লীগ। বিষয়টিকে রাজনীতির জন্য ‘ভয়ংকর বার্তা’ হবে উল্লেখ করে নজিবুল বশর বলেন, তিন মাস আগে নিবন্ধন পেয়ে যদি কেউ মনোনয়ন পায়, তাহলে রাজনীতির অবস্থান কোথায় যাবে? সুপ্রিম পার্টি তো জোটে নাই। সুপ্রিম পার্টির বিষয়ে জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু কিছু বলেননি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু সাতটি আসনের বিষয়ে নিশ্চিত করেন। জাতীয় পার্টি-জেপি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ এই তিনটি দলকে ৭টি আসন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে জাসদ ও ওয়ার্কাস পার্টি ৩টি করে আসন পেয়েছে। জাতীয় পার্টি-জেপি পেয়েছে ১টি আসন।
পিরোজপুর-২ আসনে জাতীয় পার্টি-জেপি’র চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ১৪ দলের জোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন।
এছাড়াও বরিশাল-৩ আসনে রাশেদ খান মেনন, রাজশাহী-২ আসনে ফজলে হোসেন বাদশা ও সাতক্ষীরা-১ আসনে মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। এসব আসনে দলীয় প্রার্থীর বদলে ওয়ার্কার্স পার্টি নৌকায় নির্বাচন করবে। জাসদকে ছাড়ের তালিকায় আছে কুষ্টিয়া-২ আসনে হাসানুল হক ইনু, বগুড়া-৪ আসনে এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মোশাররফ হোসেন নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন।