নানা নাটকীয়তা শেষে আওয়ামী লীগ থেকে শেষ পর্যন্ত ২৫টি আসনে ছাড় পেয়ে নির্বাচনে থাকার চূড়ান্ত ঘোষণা দিয়েছে বর্তমান একাদশ সংসদের প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টি (জাপা)। আসন-সমঝোতা হওয়ায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনে গতকাল রবিবার জাপার জন্য ২৫টি আসন থেকে নিজ দল মনোনীত ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থীদেরকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর বাইরে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এবার আওয়ামী লীগ শুরুতেই কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেয়নি, এই আসনে সেলিম ওসমান বর্তমানে জাপা দলীয় সংসদ সদস্য। জাপাকে ছাড় দেওয়া সর্বমোট এই ২৬টি আসনে ‘নৌকা’ প্রতীক না থাকলেও আওয়ামী লীগ তাদের দলের পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রত্যাহার করেনি।
বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলোর বর্জনের মধ্য দিয়ে হতে যাওয়া দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাছে শুরুতে ১০০ আসন দাবি করেছিল জাপা। এরপর দুই পক্ষের আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক কয়েক দফা বৈঠকে সেটি ক্রমান্বয়ে ৮০, ৭৫, ৬৬, ৬০, ৫৫, ৪৫, ৪০, ৩৫ ও ৩০ আসনে নেমে আসে। শেষ পর্যন্ত জাপাকে থিতু হতে হয়েছে কৌশলী (নারায়ণগঞ্জ-৫) একটি আসনসহ ২৬টিতে।
আওয়ামী লীগের কাছ থেকে চূড়ান্তভাবে এই ২৫টি আসনে ছাড় পাওয়ার পর এবং নানা দেনদরবার-দর কষাকষি ও নাটকীয়তা শেষে গতকাল বিকাল চারটার দিকে রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে নির্বাচনে যাচ্ছে জাপা’। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কত আসনে ছাড় পাওয়া গেছে বা কত আসন পাবো, এটি আমাদের দলীয় কৌশল। এটি এখানে বলা যাবে না।’ জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের এসময় বনানী কার্যালয়ে নিজ কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
জাপার প্রার্থীরা মোট ২৮৩টি আসনে ‘লাঙ্গল’ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে চুন্নু সংবাদ সম্মেলনে জানালেও আসন ছাড় না পাওয়ায় কাজী ফিরোজ রশীদসহ বেশ কয়েকজন গতকাল নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কেউ কেউ নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন।
যেই ২৫টি আসনে ছাড় পেল জাপা
সমঝোতার মাধ্যমে জাপাকে আওয়ামী লীগের ছাড় দেওয়া ২৫টি আসন হলোঃ গোলাম মোহাম্মদ কাদের (রংপুর-৩), ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৫), এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার (পটুয়াখালী-১),
মুজিবুল হক চুন্নু (কিশোরগঞ্জ-৩), শেরীফা কাদের (ঢাকা-১৮), ফখরুল ইমাম (ময়মনসিংহ-৮), মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (ফেনী-৩), শামীম হায়দার পাটোয়ারী (গাইবান্ধা-১), গোলাম কিবরিয়া টিপু (বরিশাল-৩), মো. মাশরেকুল আজম রবি (পিরোজপুর-৩), সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি (ময়মনসিংহ-৫), জহিরুল আলম রুবেল (মানিকগঞ্জ-১), মোহাম্মদ আবদুল মুনিম চৌধুরী বাবু (হবিগঞ্জ-১), সোলায়মান আলম শেঠ (চট্টগ্রাম-৮), হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (ঠাকুরগাঁও-৩), রানা মোহাম্মদ সোহেল (নিলফামারী-৩), আহসান আদেলুর রহমান (নিলফামারী-৪), হোসেন মকবুল শাহরিয়ার (রংপুর-১), একেএম মোস্তাফিজুর রহমান (কুড়িগ্রাম-১), পনির উদ্দিন আহমেদ (কুড়িগ্রাম-২), আব্দুর রশিদ সরকার (গাইবান্ধা-২), শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ (বগুড়া-২), নুরুল ইসলাম তালুকদার (বগুড়া-৩), মো. আশরাফুজ্জামান (সাতক্ষীরা-২)। এছাড়া, গতকাল নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দেওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত চিঠিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জাপার আবদুল হামিদ খান ভাসানীর জন্য ছাড় দেওয়া হলেও জাপা তাকে দলীয় প্রতীক বরাদ্দের চিঠি দেয়নি। আবদুল হামিদ খান ভাসানীর পরিবর্তে এই আসনে দলীয় প্রতীক ‘লাঙ্গল’ বরাদ্দের জন্য ইসিতে জাপা চিঠি দিয়েছে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার জন্য।
ফিরোজ-বাবলা-খোকা-পীর ফজলুর ও রত্নার আসনে ছাড় মেলেনি
জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের, তার স্ত্রী শেরীফা কাদের ও ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ারের জন্য আসন ছাড় দিলেও জাপার দুই কো-চেয়ারম্যান ও বর্তমান এমপি কাজী ফিরোজ রশীদ (ঢাকা-৬) এবং সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার (ঢাকা-৪) জন্য আসন ছাড় দেয়নি আওয়ামী লীগ। কাজী ফিরোজ রশীদ গতকাল তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তবে বাবলা ‘লাঙ্গল’ প্রতীক নিয়ে নৌকার সঙ্গে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন।
দলের আরেক কো-চেয়ারম্যান এবং যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমা ইসলামের জন্য ঢাকা-১৭ আসনে জাপা ছাড় চাইলেও তাতে আওয়ামী লীগ রাজি হয়নি। সালমা ইসলাম বর্তমান সংসদে সংরক্ষিত আসনে জাপা দলীয় এমপি। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার আসনেও (নারায়ণগঞ্জ-৩) ছাড় দেওয়া হয়নি। দলের বর্তমান এমপি পীর ফজলুর রহমানও (সুনামগঞ্জ-৪) আসন ছাড় পাননি। তিনি জানান, ছাড় না পেলেও ‘লাঙ্গল’ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।
জাপার সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী এবং বরিশাল-৬ আসনের বর্তমান এমপি নাসরিন জাহান রত্নাকেও আসন ছাড় দেয়নি আওয়ামী লীগ। প্রথমে আওয়ামী লীগ যে ২৬টি আসনে ছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছিল তাতে রত্নার নাম ছিল, সেখানে তার স্বামী রুহুল আমিন হাওলাদারের নাম ছিল না। তবে চূড়ান্ত সমঝোতায় হাওলাদারের নাম তালিকায় ঢুকলেও ছিটকে গেছেন রত্না।
২৬ জনের প্রথম তালিকায় সিলেট-৩ আসনে জাপার আতিকুর রহমানের নাম ছিল। ওই তালিকায় জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদেরের নাম ছিল না। তবে চূড়ান্ত সমঝোতায় আতিক ছিটকে গেছেন, আসন ছাড় পেয়েছেন শেরীফা কাদের। ২৬ জনের প্রাথমিক তালিকায় ফেনী-৩ আসনে লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর নামও ছিল না, তবে চূড়ান্ত তালিকায় নাম লেখাতে তিনি সক্ষম হয়েছেন।
জানা গেছে, বর্তমান সংসদের সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম, নাসরিন জাহান রত্না, লিয়াকত হোসেন খোকা ও পীর ফজলুর রহমানের জন্য আওয়ামী লীগের কাছে আসন ছাড় দাবি করেছিল জাপা। আওয়ামী লীগের কাছে দেওয়া সবগুলো তালিকাতেই তাদের নাম ছিল। কিন্তু তাদের আসনে ছাড় দেওয়া হয়নি। তবে, মাশরেকুল আজম রবি (পিরোজপুর-৩), সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি (ময়মনসিংহ-৫), নুরুল ইসলাম তালুকদার (বগুড়া-৩) এবং মো. আশরাফুজ্জামানের (সাতক্ষীরা-২) জন্য আসন ছাড় দিতে জাপার পক্ষ থেকে বলা না হলেও আওয়ামী লীগ তাদের আসনে ছাড় দিয়েছে।
বিরোধীদলে থাকতে পারা নিয়ে সংশয়
জাপার জন্য ২৬টি আসনে নৌকা প্রতীক না রাখলেও শেষ পর্যন্ত দলের কতজন নির্বাচিত হয়ে সংসদে যেতে পারবেন- তা নিয়ে সন্দিহান দলটির নেতা-কর্মীরা। গতকাল দলের বনানী কার্যালয়ে জড়ো হওয়া নেতাদের অনেককেই বলতে শোনা যায়, নৌকা প্রত্যাহার করে নেওয়া মানেই তো আর এমপি হয়ে যাওয়া নয়। যে ২৬ জনকে আসন ছাড় দেওয়া হয়েছে, তাতে নানা সমীকরণে ১০-১২ জন এমপি হতে পারেন। সেক্ষেত্রে নতুন সংসদে প্রধান বিরোধীদলের আসনও হারাতে পারে জাপা।
কয়েক দফায় বৈঠক ও নাটকীয়তা
গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাপার কয়েক দফা বৈঠকের পরেও আসন-সমঝোতা হয় হয় করেও ভেস্তে যাচ্ছিল। শুক্রবার সংসদ ভবনে দুই পক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের দীর্ঘ বৈঠকে ২৬টি আসনে জাপাকে ছাড় দেওয়া হবে বলে জানায় আওয়ামী লীগ। তবে, সেই ২৬ জনের তালিকায় দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েক নেতা ও বর্তমান এমপিদের কয়েকজনের নাম না থাকায় বেঁকে বসে জাপা। দলটির অভিযোগ, আওয়ামী লীগ যে ২৬ জনকে আসন ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে জাপা যেসব আসন চেয়েছিল সেগুলোর বেশিরভাগই না রেখে আওয়ামী লীগ নিজেদের পছন্দমতো তালিকা করেছে। বিশেষ করে, যেই যেই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের প্রার্থিতা নির্বাচন কমিশন বাতিল করেছে কিংবা আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী দেয়নি- সেগুলোকে কৌশলে জাপার অনুকূলে ছাড় হিসেবে দেখানো হয়েছে। এছাড়া ওই ২৬ জনের তালিকায় এমন ব্যক্তিদের নাম ছিল, যাদের জন্য আসন ছাড় চায়নি জাপা।
এনিয়ে দু’পক্ষের সমঝোতা প্রায় ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়। যার জের ধরে শনিবার দুই পক্ষের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। পরে জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ দলটির সিনিয়র নেতা ও বর্তমান এমপিরা শনিবার দুপুর থেকে বৈঠকে বসেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার অনিসুল ইসলাম মাহমুদের গুলশানের বাসায়। সেই বৈঠক থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ফোন করে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছিলেন, ‘২৬ জনের যে তালিকা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে তাতে জাপার সামষ্টিক আপত্তি রয়েছে।’ এরপর ওবায়দুল কাদেরের পরামর্শে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদের মাধ্যমে ৪২জনের নামের তালিকা পাঠানো হয় আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজমের কাছে। ওবায়দুল কাদের জাপাকে জানিয়েছিলেন, তালিকাটি নিয়ে তিনি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করে জানাবেন। তবে ব্যারিস্টার আনিসের বাসায় রাত দেড়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে কোনো আপডেট পাননি জাপার শীর্ষ নেতৃত্ব।
শনিবার দিবাগত রাত দেড়টায় জাপার নিজেদের ওই বৈঠক ও অপেক্ষা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ব্যারিস্টার আনিসের বাসায় দলটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একজনের বৈঠক হয়। এর আগে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের মাঝখানে একবার বাইরে গিয়ে অন্যত্র একটি বৈঠক করে আবার ব্যারিস্টার আনিসের বাসায় ফিরে আসেন।
নির্বাচন বর্জনের দাবিতে বিক্ষোভ ও পুলিশ মোতায়েন
শনিবার রাত গড়ালেও আসন-সমঝোতা চূড়ান্ত না হওয়ায় গতকাল বেলা সোয়া ১১টার দিকে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের তার বনানী কার্যালয়ে আসেন। এর আগে-পরে সেখানে পৌঁছান দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এবং চারজন কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম ও মোস্তাফিজার রহমান (রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র)। কিছুক্ষণ পর বনানী কার্যালয়ের সামনে জাপার কিছু নেতা-কর্মী নির্বাচন বর্জনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ‘দালালি না রাজপথ’, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয়, বর্জন বর্জন’ স্লোগান দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জিএম কাদের কার্যালয়ে ঢোকার পরপরই গণমাধ্যম কর্মীরা তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। এসময় জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু তাকে একটু দাঁড়িয়ে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন। তখন জিএম কাদের বলেন, ‘ভিক্ষার সিট আমি নেব না’। একথা বলে তিনি তার কক্ষে চলে যান। সূত্রমতে, জাপার নেতারা কার্যালয়ে যাওয়ার পর বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও সেখানে পৌঁছান। বিকালে জাপা মহাসচিব নির্বাচনে থাকার ঘোষণা দেওয়ার পরেও কয়েক দফায় সেখানে বিক্ষোভ করেছেন নেতা-কর্মীদের একাংশ।
রংপুর-৩ রেখে ঢাকা-১৭ থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেন জিএম কাদের
ঢাকা-১৭ আসন থেকে জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তবে রংপুর-৩ আসন থেকে তিনি নির্বাচন করবেন। গতকাল বেলা পৌনে তিনটার দিকে এই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়। জিএম কাদের বর্তমানে লালমনিরহাট-৩ আসনের এমপি হলেও এবার তিনি নির্বাচন করছেন রংপুর-৩ আসনে। রংপুর-৩ আসনের বর্তমান এমপি এরশাদপুত্র সাদ এরশাদ। তবে, সাদ এবার নির্বাচনের বাইরে।