হঠাৎ করেই জাতীয় দলে ডাক পান জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার। তারপরই শুরু হয় সমালোচনা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে শূন্য রানে আউট হলে বেড়ে যায় সমালোচনার মাত্রা। এবার সেই সমালোচনার জবাব দিলেন ব্যাটে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে করলেন শতক।
শুধু তাই নয়, ছাড়িয়ে গেলেন ক্রিকেটের লিজেন্ড শচীন টেন্ডুলকারকে। সৌম্যে করলেন ১৬৯ রান। যা এখন নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এশিয়ার কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এই রেকর্ড এতদিন ছিল শচীনের দখলে। একটা সময় মনে হয়েছে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস লিটনের ১৭৬। কিন্ত শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। শেষ ওভারে ও’রর্কের বলে আউট হন।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই এনামুল হক, নাজমুল হোসেন ও লিটন দাসের উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশকে উঁকি দিচ্ছিল অল্প রানে অলআউট হওয়ার আশঙ্কা। কিন্তু চিত্রটা পাল্টে দেয় সৌম্য।
দ্রুত ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর হৃদয়কে নিয়ে জুটি গড়ার আভাস দিয়েছিলেন সৌম্য, হৃদয় তাঁকে ভালো সঙ্গই দিচ্ছিলেন। কিন্তু নন স্ট্রাইক প্রান্তে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে থামতে হয় হৃদয়কে, সে জুটি থামে ৩৬ রানেই। জশ ক্লার্কসনের বলে তাঁর বুট ছুঁয়ে সৌম্যর ড্রাইভ গিয়ে ভাঙে নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প। হৃদয়ের আউটের পর তাঁর চেয়েও বেশি হতাশ ছিলেন সৌম্যই।
এরপর মুশফিককে নিয়ে ভিতটা গড়েন সৌম্য। দুজনের ৯১ রানের জুটি ভাঙে ডাফির বলে মুশফিক উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়াতে। তাঁর উইকেটের পর ছন্দপতন হয় সৌম্যরও, ৫০ থেকে ৬০ রানের মধ্যে দুবার ক্যাচ দিয়ে বাঁচেন, একবার বাঁচেন রিভিউ নিয়ে। নড়বড়ে সৌম্য বেশি দূর যাবেন, তখন ঠিক সেটি মনে হচ্ছিল না। তবে এদিন সৌম্য যেন নেমেছিলেন সবাইকে ভুল প্রমাণ করতেই।
এরপর মিরাজকে নিয়ে দ্রুতগতির জুটিতে নিউজিল্যান্ডকে চাপে ফেলেন আবার, পেয়ে যান শতকও। ওয়ানডেতে নিজের তৃতীয় শতক পূর্ণ করেন অশোকের বলে অফ সাইডে সিঙ্গেল নিয়ে, ১১৬ বলে। এরপর গতি বাড়ান। শতকের পর ১৫০ রানে যেতে তাঁর লাগে আর মাত্র ২৮ বল।
তানজিম হাসানের পর রিশাদ হোসেনকে নিয়ে ছোট ছোট জুটি গড়ে বাংলাদেশকে এনে দেয় লড়াই করার পুজি। ৪৯ ওভার বলে অলআউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ করে ২৯১ রান।