ফিলিস্তিনে চলছে ভয়াবহ যুদ্ধ। সবশেষ খবর পর্যন্ত ইসরায়েলের নারকীয় হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ২১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষ্যে সকল প্রকাল উদযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার বৃহস্পতিবার ঘোষণায় বলেছেন, সারা দেশে নববর্ষ সম্পর্কিত সমস্ত উদযাপন নিষিদ্ধ করা হলো। দক্ষিণ এশীয় জাতি (পাকিস্তান) ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে। কারণ তারা ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বর্বর হামলার শিকার।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে বাদ যায়নি শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল, বেসরকারী সংস্থা পরিচালিত স্কুল, মসজিদ, শপিংমলসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।
ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফার বরাত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) মধ্য গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান তীব্রতর ও বিস্তৃত হয়েছে। এ ইসরায়েলি হামলায় গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে অন্তত সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এছাড়া স্থানীয় চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, আল-মাগাজিতে বিমান হামলায় পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের এল আমাল হাসপাতালের কাছে ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় নিহতদের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে হাজারো বাসিন্দা কেন্দ্রীয় গাজা ও খান ইউনিস ছেড়ে পালিয়েছে।