গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের ওপর শুক্রবার রাতে ট্যাংক ও বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। হামাস অপারেটরদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২০০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কিছু বাসিন্দা জানিয়েছেন, গুলির শব্দ শুনে বুঝা গেছে খান ইউনিসে ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যে লড়াই চলছিল। চিকিত্সক ও ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের মতে, বিমানগুলো কেন্দ্রীয় গাজা উপত্যকার নুসিরাত শিবিরেও ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী প্রধান দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে আরও অগ্রগতির জন্য ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ডিসেম্বরের শুরুতে তারা শহরটির কিছু অংশ দখল করেছিল।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেছেন, সৈন্যরা হামাসের কমান্ড সেন্টার ও অস্ত্র ডিপোতে পৌঁছেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আরও বলেছে, তারা গাজা শহরে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বাড়ির বেসমেন্টে একটি টানেল কমপ্লেক্স ধ্বংস করেছে।
হামাস অপারেটিভরা ইসরায়েলি শহরে হামলা চালানোর বারো সপ্তাহ চলছে। এ কয়দিনে হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করার নামে গাজার বেশিরভাগ অংশ নষ্ট করে ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই অন্তত একবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে এবং অনেকে পালাচ্ছে। তারা প্রায়ই অস্থায়ী তাঁবুতে বা খোলা মাটিতে টারপলিন ও প্লাস্টিকের ছাউনির নীচে আশ্রয় নেয়।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় আরও ১৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৫০৭ জনে যা গাজার জনসংখ্যার প্রায় ১ শতাংশ। আশপাশের ধ্বংসস্তূপে আরও হাজার হাজার লাশ চাপা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।