ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন এই তিন উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর ৪ সংসদীয় আসন গঠিত। এই আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফরউল্লাহ এবং ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।
এই আসনে উপজেলার সদরপুর পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে নৌকা প্রতীকের উঠান বৈঠক হয়েছে। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন কাজী জাফরউল্লাহ।
ওই সভায় একদল কর্মী সমর্থক বাঁশের তৈরি লাঠি নিয়ে মিছিল করতে করতে যোগ দেয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, একদল লোক নৌকা নৌকা শ্লোগান দিয়ে মিছিল করতে করতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে, যাদের সবার হাতে সবুজ রঙ করা বাঁশের লাঠি। যদিও ভিডিওতে তারা সেই লাঠিকে বৈঠা বলে সম্বোধন করেছে। কয়েকজন বৈঠা নিচে নামিয়ে হাঁটতে থাকলে পেছন থেকে কেউ একজন বলে বৈঠা উঠান বৈঠা উঠান।
আরেকটি ক্লিপে দেখা যায়, মিছিলটি সভা মঞ্চের সামনে গিয়েও নৌকা নৌকা শ্লোগান দিচ্ছে, সে সময় মঞ্চে বসা ছিলেন নৌকার প্রার্থী কাজী জাফরউল্লাহ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, রাত ১১টার সময় রাস্তা দিয়ে বৈঠা নিয়ে এ ধরনের মিছিল করার কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
এই বিষয়ে ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী বলেন, লাঠি নিয়ে বা বৈঠা নিয়ে গভীর রাতে এ ধরনের মিছিল আচরণবিধি লঙ্ঘন। ওই রাতেই এলাকায় থাকা আমার কর্মী-সমর্থকরা আতঙ্কিত হয়ে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। এলাকায় ভীতিকর একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সে সময়। বিষয়টি তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানাবেন বলেও জানান।
এই বিষয়ে সভায় আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান তালুকদার জানান, লাঠি বা বৈঠা নিয়েই মিছিল বা শোডাউন করার সুযোগ নেই। এটি আচরণবিধি লঙ্ঘন। আমার কাছেও একটি ভিডিও এসেছে। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।