রাজধানীতে বিকাশ পরিবহনের একটি বাসে এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে চালক মাহবুবুর রহমান ও তার এক সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ থানা।
গ্রেপ্তার বাসচালক মাহবুবুরকে জিজজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।এ ছাড়া ঘটনার সময় তার সহকারী সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রকৃত দোষীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামীকাল (শুক্রবার) আদালতে পাঠানো হবে। বৃহস্পতিবার বিকালে লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো.কুদরত-ই-খুদা এসব তথ্য জানিয়েছেন।তিনি বলেন,গত ২৪ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধানমন্ডি থেকে ওই ছাত্রী আজিমপুর যাওয়ার জন্য বিকাশ পরিবহনের (ঢাকা-মেট্রো-ব-১২-০৬০৫) একটি বাসে ওঠেন।বাসে ওঠার পর গান শুনতে শুনতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন।রাত ৯টা ১০ মিনিটে তার শরীরে কারও হাতের স্পর্শে ঘুম ভেঙে যায়।এ সময় তিনি তার পাশের সিটে বাসের হেলপারকে বসে থাকতে দেখেন।এ সময় ওই বাসে তিনি ছাড়া আর কোনো যাত্রী ছিল না।পুলিশ কর্মকর্তা বলেন,ওই শিক্ষার্থী বুঝতে পারেন তার সঙ্গে খারাপ কিছুর পরিকল্পনা করছেন বাসচালক ও হেলপার।নিজেকে বাঁচাতে ভিকটিম বাস থেকে নামার চেষ্টা করলে হেলপার পেছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরেন ও এক হাতে মুখ চেপে ধরেন।ভিকটিম বাস থামাতে চিৎকার করলেও চালক আরও দ্রুত গতিতে চালাতে থাকেন।এক পর্যায়ে আজিমপুর গার্লস স্কুলের কাছে বাসটি কিছুটা গতি কমালে ভিকটিম লাফ দিয়ে বাস থেকে নেমে আত্মরক্ষা করেন।
তিনি আরও বলেন,এ বিষয়ে পুলিশে কোনো অভিযোগ না করে ভিকটিম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন।বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করি।পরে বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান করে গত বুধবার আশুলিয়া থেকে বাসচালক মাহবুবুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বাসটির হেলপারকে গ্রেপ্তারের জন্য ঢাকার বাইরে অভিযান পরিচালনা করি।এরই একপর্যায়ে একই বাসের একই নামে দুজন সহকারীকে শনাক্ত ও আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি।এখন প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে।এ ঘটনায় লালবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে।