গত বছরে একাধিক বার প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন বলিউড তারকা সালমান খান। এসেছে হুমকি ফোন, ইমেলও। নতুন বছরের শুরুতেই এ বার সালমানের খামারবাড়িতে ঢোকার চেষ্টা দুই দুষ্কৃতীর। মুম্বই পুলিশের তৎপরতায় পাকড়াও হয় ওই দুই দুষ্কৃতী। খবর, নিজেদের ভাইজানের অনুরাগী বলে পরিচয় দিয়ে খামারবাড়িতে ঢোকার ছক কষেছিলেন ওই দুই দু্ষ্কৃতী। নিজেদের পরিচয়ও দিয়েছিলেন ভুয়ো নামে।
গত ৪ জানুয়ারি মুম্বইয়ের কাছে পানভেলে সালমানের খামারবাড়িতে ঘটে এই ঘটনা। অজেশ কুমার এবং গুরুসেবক সিংহ দুই ব্যক্তি ভুয়ো পরিচয় দিয়ে সালমানের খামার বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। অজয় নিজেকে ওমপ্রকাশ গিল এবং গুরুসেবক নিজেকে তেজসিংহ শিখ নামে পরিচয় দিয়েছিলেন। নিজেদের সালমানের অনুরাগী বলে দাবি করলেও পরে জানা যায়, ভুয়ো নামের সাহায্যে খামারবাড়ির ভিতরে ঢোকার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। শুধু তা-ই নয়, খামারবাড়ির চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া কেটে পাঁচিল টপকে ভিতরে যাওয়ারও চেষ্টা করেন দুই অভিযুক্ত। সন্দেহের বশে পুলিশকে ফোন করেন খামারবাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা। পুলিশ এসে গ্রেফতার করেন ওই দুই দুষ্কৃতীকে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ভুয়ো আধার কার্ডও।
গত বছর নভেম্বর মাসে পঞ্জাবি গায়ক গিপ্পি গ্রেওয়ালের কানাডার বাড়ির সামনে গুলি চালায় এক দল দুষ্কৃতী। সেই হামলার দায় স্বীকার করেন আরও এক পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। সমাজমাধ্যমের পাতায় তিনি দাবি করেন, সালমানকে বার্তা দেওয়ার জন্যই নাকি এই পদক্ষেপ তাঁর। গিপ্পি সলমনের ভাল বন্ধু, সেই কারণেই নাকি তিনি হামলার শিকার, জানান লরেন্স। তিনি লেখেন, ‘‘সালমানকে তো তুমি তোমার ভাই মনে করো। তা হলে এ বার ‘ভাই’ এসে তোমাকে বাঁচাক। এই বার্তা সলমনের জন্যেও। দাউদ তোমাকে রক্ষা করবে, এটা ভেবো না। তোমাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।’’ এরই সঙ্গে লরেন্স লিখেছেন, ‘‘সিধু মুসেওয়ালার মৃত্যুর পর তোমার নাটকীয় মন্তব্য কারও অগোচরে নেই। ও (সিধু) কেমন মানুষ ছিল, তা আমরা সকলেই জানি।’’ তবে এই হামলাকে নেহাতই প্রথম ঝলক হিসাবে উল্লেখ করেছেন লরেন্স। তাঁর কথায়, ‘‘তুমি যে কোনও দেশে আশ্রয় নিতে পারো। কিন্তু মনে রেখো, মৃত্যুর জন্য কোনও ভিসা লাগে না।’’ সেই ঘটনার তিন মাসের মাথায় সালমানের খামারবাড়িতে ভুয়ো পরিচয়ে ঢোকার চেষ্টা দুই দুষ্কৃতীর। দুই ঘটনার মধ্যে কি কোনও যোগসাজশ রয়েছে? তদন্ত করছে পুলিশ।