ইউটিউবের দুটি চ্যানেলকেই একই রকম দেখতে। বলা যেতে পারে ‘ক্লোন’। কিন্তু এর মধ্যে একটি আসল, অন্যটি নকল। সম্ভাব্য প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেলেন অভিনেত্রী নুসরত জাহান এবং অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। সোমবার ছিল অভিনেত্রী নুসরত জাহানের জন্মদিন উপলক্ষে প্রকাশ্যে এসেছে যশ-নুসরত অভিনীত ‘মেন্টাল’ ছবির ট্রেলার। ট্রেলার নিয়ে অনুরাগীদের উৎসাহে খুশি দুই তারকা। এ দিকে অন্য এক সমস্যার সম্মুখীন যুগল। সমাজমাধ্যমে যশের প্রযোজনা সংস্থার (ওয়াইডি ফিল্মস) একটি নকল প্রোফাইল খোলা হয়েছে! সেখান থেকে একই কনটেন্ট পোস্ট করা হয়েছে।
বেশ কিছু দিন ধরেই ইউটিউবে এই ভুয়ো প্রোফাইলটি সক্রিয় ছিল। ঘনিষ্ঠদের তৎপরতায় বিষয়টি নজরে আসে যশরতের। সম্প্রতি ‘মেন্টাল’ ছবির গান প্রকাশ্যে আসে। তার পর থেকেই ওই ভুয়ো প্রোফাইলের কারসাজি শুরু হয়। সোমবার সেখানে ছবির ট্রেলার প্রকাশ করে দাবি করা হয় সংশ্লিষ্ট প্রোফাইলটিই প্রযোজনা সংস্থার আসল ইউটিউব চ্যানেল। বিষয়টি নজরে আসতেই সোমবার কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখায় অভিযোগ জানান নুসরত। তার পর রাতের মধ্যেই ফেক প্রোফাইলটিকে বন্ধ করে দিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
তাঁদের প্রযোজনা সংস্থার অধীনে প্রথম ছবি ‘মেন্টাল’। নতুন পথ চলার আগে বাধা সৃষ্টির জন্যই যে এই ধরনের সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে, সে কথা মেনে নিলেন নুসরত। যশ ও নুসরত কি মনে করছেন তাঁরা ইন্ডাস্ট্রির ‘গোষ্ঠী’ বা কোনও রকম ‘রাজনীতি’র শিকার? আনন্দবাজার অনলাইনকে নুসরত বললেন, ‘‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রি একটা ছোট পরিবার। আমাদের নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য বা মতের অমিল হতে পারে। কিন্তু আমরা সব সময়ে পরস্পরের কাজ ভাল নজরে দেখি। তাই এটা ইন্ডাস্ট্রির কেউ করেছে বলে আমার মনে হয় না। সাইবার ক্রাইম শাখাকে এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’’
ইন্ডাস্ট্রির কোনও ‘গোষ্ঠী’ তাঁদের প্রযোজনা সংস্থার ক্ষতি করতে চাইছে বলে মানতে নারাজ যশও। বললেন, ‘‘আমার মনে হয় এটা এক জন দক্ষ হ্যাকার বা ট্রোলারের কাজ। এখনকার প্রজন্ম প্রযুক্তির দিক থেকে খুবই স্মার্ট। তাই কেউ হয়তো ‘দুষ্টুমি’ করার চেষ্টা করেছে।’’ এরই সঙ্গে যশের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘কিন্তু ভাল ছবি এই ভাবে কখনও আটকানো যায় না। আর বাচ্চারা দুষ্টুমি করলে বড়রা জানে তাদের কী ভাবে শাসন করতে হয়।’’
চলতি মাসেই ‘মেন্টাল’ এর মুক্তি পাওয়ার কথা। এই ছবির মাধ্যমে দীর্ঘ দিন পর যশ-নুসরত জুটি পর্দায় ফিরতে চলেছে। বাংলা বাণিজ্যিক ‘মশালা’ ছবির হারানো দিন ফিরিয়ে আনতেই নিজেদের প্রযোজনা সংস্থার অধীনে এই ছবি তৈরি করেছেন যুগল। এখন তাঁদের উদ্দেশ্য কতটা সফল হবে, তার উত্তর দেবেন দর্শক।