শেষ হলো নির্বাচন, কিন্তু নির্বাচনের বাতাস এখনো বয়ে চলছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনের বাই-প্রডাক্ট মারা-মারি, কাটা-কাটি পুরা মাত্রায় চলছে।
বিরোধী পক্ষ নির্বাচনে নাই, ডানে তারা বামেও তারা, পক্ষে তারা বিপক্ষেও তারা। এটা ছিলো নিজেদের মধ্যেই উইন উইন ম্যাচ! বিতর্ক এড়াতে ওয়াকওভার নিলো না আওয়ামী-লীগ তবুও নিজেদের মধ্যে এই হানা-হানি বন্ধ করতে পারলো না কেন প্রশাসন?
ঝিনাইদাহ-১ এ নৌকার “আব্দুল হাই” সতন্ত্র “নজরুল ইসলাম দুলাল”-কে হারিয়ে ৩য় বারের মত সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। এর পরেই তার সেনাদল ঝাপিয়ে পরে দুলালের দূর্গে, তাদের অপরাধ(!) নৌকায় ভোট দেয়নি। এই যদি হয় আন্ত-দলীয় সম্পর্ক তবে বিএনপি নির্বাচনে থাকলে কী অবস্থা হইতো এখানে!
শৈলকুপা উপজেলের “ধুধসর” গ্রামে নির্বাচনের পরের দিন সন্ধ্যায় হাই এর সেনা দল দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে ১৮-২০ টি বাড়ি ভাংচুর করে এলাকায় নারকীয় পরিস্থিতির জন্ম দেয়।
লিঙ্কন নামের স্থানীয় এক যুবক বলেছে সন্ধ্যার পরে হঠাৎ করে একদল অস্ত্রধারী তাদের গ্রামের উপর হামলে পরে কিছু বুঝে ওঠার আগে তাদের বাড়িঘড়ে আক্রমণ করে দেশীয় রামদা দিয়ে ভাংচুড় শুরু করলে তারা সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে পরে।
কিছুক্ষণ পরে ধাতস্থ হয়ে এলাকাবাসী ৯৯৯ এ ফোন করে প্রশাসনের সহায়তা চাইলে কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ চলে আসে একই সাথে নির্বাচনে নিয়জিত সেনা বাহিনি ও অন্যান্য বাহিনির সদস্যরা এসে তাদের প্রতিরোধ করায় তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
এলাকায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পরিস্থিতি যেন আরও অবনতি না হয় তাই পুলিশ মোতায়ন করা আছে।
এডিশনাল এসপি “ইমরান জাকারিয়া” বলেছেন তারা স্থানীয় নেত্রীবৃন্ধ ও প্রশাসনের সহায়তায় এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে সে ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
পরাজিত প্রার্থী “নজরুল ইসলাম দুলাল” বলেছেন তার সাপোর্টারদের বাড়িঘড়ে ভাংচুড় করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তাদের অনেকে এখন তার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চেয়ে আবেদন করেছেন ও আর যেন এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য সহায়তা চেয়েছেন।
এ দিকে নির্বাচিত প্রার্থী বলেছেন তার কাছে কোন দূস্কৃতিকারিদের দায়ীত্ব তিনি নিবেন না, যেই অপরাধ করবে তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে।