জ্বালানি সংকটের মধ্যে গ্যাস উত্তোলন বাড়ানো ও নতুন করে গ্যাস কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।তিতাস গ্যাসফিল্ডের দুটি কূপ থেকে বাড়তি গ্যাস উত্তোলনের জন্য কম্প্রেসর বসানো হচ্ছে।পাশাপাশি সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ১০ নম্বর কূপ খননের পূর্তকাজ শুরু করা হচ্ছে।
গত বুধবার সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানির তিতাস গ্যাস ফিল্ডসের লোকেশন-ই এবং জিতে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপনের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
একই সঙ্গে সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের ১০ নম্বর কূপ খনন প্রকল্পের পূর্তকাজ ও মালপত্র কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়।বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল বারিক এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
আব্দুল বারিক বলেন,তিতাস গ্যাস ফিল্ডের লোকেশন-ই এবং জিতে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপনের জন্য ৪০৯ কোটি ৮০ লাখ ৯৮ হাজার ৮০৮ টাকায় সিঙ্গাপুরের জিকম ইক্যুইপমেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের এজি ইক্যুইপমেন্টকে কাজ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড কোম্পানির কম্প্রেসর ও জেনারেটর শাখার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন,কূপের গ্যাস শেষ পর্যায়ে এলে দেখা যায় রিজার্ভারে কিছু গ্যাস থেকে যায়,যা কম্প্রেসর ছাড়া উত্তোলন করা সম্ভব হয় না।তিতাস গ্যাস ফিল্ডেও তাই ঘটেছে।সমীক্ষা করে দেখা হয়েছে,কম্প্রেসর বসালে বাড়তি গ্যাস পাওয়া যাবে,যা কম্প্রেসর বসানোর খরচের তুলনায় অনেক বেশি।এ জন্য কম্প্রেসর বসিয়ে বাড়তি গ্যাস তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে,সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ১০ নম্বর কূপ খননের পূর্তকাজ ও মালপত্র কেনার জন্য ১৪৯ কোটি ১০ লাখ ৭৭৭ টাকার একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।কূপ খননের পরিচালনা,মালপত্র,তৃতীয় পক্ষীয় প্রকৌশল সেবা ও পূর্তকাজ দেওয়া হয়েছে চীনের চিনোপ্যাক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস করপোরেশনকে।
সভায় সিঙ্গাপুরের ইন্ট্রা বিজনেস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৫০ হাজার টন গম কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করে কমিটি।এতে মোট ২২৩ কোটি ৭৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা খরচ হবে।প্রতি কেজি গমের দাম পড়বে ৪৪ টাকা ৭৫ পয়সা।এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনকে ১ হাজার ৩৯ কোটি ৫০ লাখ টাকায় ১ লাখ টন পটাশ (এমওপি) সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আর বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে।বিসিআইসি কাফকো বাংলাদেশ থেকে ১৫৯ কোটি ১৮ লাখ টাকায় এ সার কিনবে।আর গণপূর্ত অধিদপ্তরের ‘গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের বহুতল ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় ৯তলা অফিস ভবন এবং ১০তলা আবাসিক ভবন নির্মাণের পূর্তকাজ যৌথভাবে পিএইএল, এনডিই ও মির আখতারকে দেওয়া হয়েছে।এ কাজে ব্যয় হবে ৩২৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা।