নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষার জন্য কলকাতার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে এলে হাসপাতালের সামনে একেবারে নাটকীয় মুহূর্ত,গাড়ির সিটে মাথা ঠুকে কান্না,কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখার্জী।এরপর কোনোমতে তাকে উঠানো হয় হুইল চেয়ারে করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের ভেতরে।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইএসআই হাসপাতালের সামনের পরিস্থিতি ছিল এমনই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,হাসপাতালের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।হাসপাতালে পৌঁছে গাড়ি থেকে নামতেই চাননি তিনি।হাত ধরে নামানোর চেষ্টা করতেই গাড়ি থেকে পড়ে যান।এতে স্পষ্ট,মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অর্পিতা।সেখানেই গাড়ি থেকে নামতে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে কার্যত সংজ্ঞা হারান অর্পিতা।
অন্যদিকে হাসপাতালে প্রবেশের সময় প্রথমবার নীরবতা ভেঙে পার্থ বললেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।’গ্রেপ্তারের প্রায় ৭ দিন পরে মুখ খুললেন পার্থ।
এরমধ্যেই তৃণমূলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছিল,পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেই চুপ।উনি নিজেই কোনো প্রতিবাদ করছেন না।এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাজ্যের মন্ত্রিসভা ও তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে সরানো হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তার ঠিক পরদিনই মুখ খুললেন পার্থ।
এদিকে তদন্তে নেমে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে একের পর এক ফ্ল্যাটের খোঁজ পাচ্ছে ইডি।
ইতিমধ্যেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ইডি জেরায় দাবি করেছেন,টালিগঞ্জ এবং রথতলায় তার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা আসলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।যে ফ্ল্যাটে টাকা থাকতো তাতে টাকা রাখা হচ্ছে অর্পিতা জানতেন কিন্তু সেখানে তার প্রবেশ অধিকার ছিল না।
সূত্রের খবর,তদন্তকারীদের অর্পিতা নিজেই জানিয়েছেন,তার নামে আরও ১২ থেকে ১৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে শহরের বিভিন্ন স্থানে।