মেক্সিকো সিটি, ২২ জানুয়ারী – মেক্সিকান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং গুয়েতেমালার সিনিয়র কর্মকর্তারা অভিবাসন নিয়ে আলোচনার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিলিত হবেন, মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিসিয়া বার্সেনা সোমবার বলেছেন, তিনি মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে চাপ কমানোর লক্ষ্যে পরিকল্পনা তৈরি করেছেন।
গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সাথে সাক্ষাতের পর বক্তৃতাকালে বার্সেনা বলেছে দুই পক্ষই আশ্রয়প্রার্থীদেরকে আরও দক্ষিণে সাইন আপ করার অনুমতি দিতে চায় মার্কিন সরকারের অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য ব্যবহৃত অ্যাপের মাধ্যমে।
সিবিপি ওয়ান নামে পরিচিত অ্যাপটির জন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপটির লক্ষ্য মেক্সিকোর উত্তর সীমান্তে মানুষের ভিড় কমানো, বার্সেনা একটি সরকারি সংবাদ সম্মেলনে বলেছে।
মন্ত্রী বলেন, মেক্সিকান ও মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের বৈঠকে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে পৌঁছেছেন।
অভিবাসনের পরিসংখ্যানকে মানসম্মত করা, মানব চোরাচালান নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং পানামার বিপজ্জনক ড্যারিয়েন গ্যাপ পরিদর্শনের পরিকল্পনা মেক্সিকো-ইউ.এস. বার্সেনা দ্বারা নির্ধারিত চুক্তি।
দারিয়েন গ্যাপ, কলম্বিয়া এবং পানামার মধ্যে একটি বিশ্বাসঘাতক জঙ্গল ভিতর দিয়ে গত বছর রেকর্ড ৫২০,০০০ অভিবাসী ক্রস করেছে, বার্সেনা বলেছে অভিবাসন সেখান থেকে শুরু হয় এবং সেই প্রবণতা রোধ করতে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের সাথে দেখা করবেন।
তিনি আরও বলেছিলেন স্থানীয় কর্মকর্তাদের দ্বারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো সতর্কতার পর মার্কিন সেনাবাহিনীর মেক্সিকোতে প্রবেশ করা অস্ত্রের তদন্ত করা হবে।
এই মাসের শুরুর দিকে গুয়াতেমালা তার নতুন রাষ্ট্রপতি বার্নার্ডো আরেভালোকে শপথ করিয়েছিল, তিনি বলেছিলেন মধ্য আমেরিকা থেকে লোকেদের প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করার জন্য উভয় দেশকেই কাজ করতে হবে।
মার্কিন-মেক্সিকো আলোচনার পরে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বলেছেন মেক্সিকোর সাথে সমন্বিত প্রচেষ্টা যৌথ সীমান্তে ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করছে।