২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে সিদ্ধার্থ আনন্দের প্রতীক্ষিত ছবি ‘ফাইটার’। এই ছবির অভিনেত্রী হিসাবে আবার দীপিকাকেই বেছে নিয়েছেন সিদ্ধার্থ। মুখ্যচরিত্রে দেখা যাবে অনিল কপূর এবং হৃতিক রোশনের মতো বলি তারকাদের। মুক্তির দোরগোড়ায় এসে ধাক্কা খেল ‘ফাইটার’। ভারতে মুক্তির ক্ষেত্রে সেন্সর বোর্ডের কোপের মুখে পড়ে এই ছবি। এ বার পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে নিষিদ্ধ করা হয় ‘ফাইটার’-কে। একমাত্র সংযুক্ত আমিরশাহিতে দেখানো হবে দীপিকা-হৃতিকের এই ছবি। কিন্তু কেন নিষিদ্ধ করা হল ‘ফাইটার’?
দিন কয়েক আগে যখন ছবির ট্রেলার মুক্তি পায়। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় এই ছবি মূলত পাকিস্তানের তরফ থেকে ঘটা সন্ত্রাসবাদী হামলায় ভারতের জবাবকে নিয়ে। ছবির ট্রেলার প্রকাশ্যে আসার পর এই ছবির বিরোধিতা করেছেন একাধিক পাকিস্তানি তারকা। এঁদের মধ্যে আছেন হানিয়া আমির, আদনান সিদ্দিকি। ১৫ জানুয়ারি ‘ফাইটার’ ছবির ট্রেলার মুক্তির পর হানিয়া সমাজমাধ্যমের পাতায় লেখেন, ‘‘বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এখনও কিছু শিল্পী আছেন যাঁরা দুই দেশের মধ্যে সমস্যাকে তুলে ধরে নেতিবাচক বার্তা দিতে চাইছেন। যে সব শিল্পী দুই দেশের ব্যবধান বাড়াতে শিল্পকে হাতিয়ার করছেন তাঁদের জন্য খারাপ লাগে।’’ আদনান লিখেছিলেন, ‘‘বলিউড এক সময় ভালোবাসার উদ্যাপন করত, এখন ঘৃণা ছড়ায়। আমাদের খলনায়ক হিসেবে দেখায়।’’ স্বাভাবিক ভাবে এই ছবির মুক্তি ঘিরে অসন্তুষ্ট হয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানের তারকাদের একটা অংশ। তার আঁচই কি গিয়ে পড়ল পশ্চিম এশিয়ায়? সেই উত্তর মেলেনি। তবে দেশের মধ্যে ছবিকে ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে বেশ টালবাহানা করে সেন্সর বোর্ড। ছবিতে একাধিক বদলের নিদান দিয়েছে সিবিএফসি। হিন্দিতে ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক’ বার্তা ছবির প্রয়োজনীয় দৃশ্যে সংযোজন করার নির্দেশ দিয়েছেন সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষ। শুধু তা-ই নয়, ৫৩ মিনিটে ও ১ ঘণ্টা ১৮ মিনিটের মাথায় দু’টি সংলাপ থেকে ‘কটুকথা’ বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, হৃতিক ও দীপিকার ঘনিষ্ঠ দৃশ্য সরিয়ে সেখানে উপযুক্ত দৃশ্য সংযোজন করা আদেশ দিয়েছে।