‘গত ২০ বছরেও এমন দৃশ্য দেখিনি’
কালোবাজারে চড়া দামে ‘হাওয়া’র টিকিট বিক্রি হচ্ছে, বিষয়টি নেতিবাচক হলেও এতে বোঝা যায়, ছবিটি নিয়ে দর্শকের আগ্রহ কতটা; যা চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টদের অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছে নব্বই দশকের স্মৃতি। ঢাকার মধুমিতা, শ্যামলী সিনেপ্লেক্সসহ বেশ কিছু জায়গায় কালোবাজারে ‘হাওয়া’র টিকিট বিক্রির খবর শোনা যাচ্ছে। মধুমিতা হলের কর্ণধার ইফতেখার নওশাদ বলেন, ‘প্রথম দিন আমার হলে ব্ল্যাকে টিকিট বিক্রির খবর শুনেছি। শুনলাম, ১৫০ টাকার ডিসির টিকিট ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। গত ২০ বছরেও আমার হলে এমন দৃশ্য দেখিনি।’ শ্যামলী সিনেপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আহসানুল্লাহ জানালেন, তাঁদের হলেও কিছু কিছু টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে, ‘দর্শকের চাপেই এমনটি হচ্ছে। শুনেছি, ২০০ ও ২৫০ টাকার টিকিট ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।’ এ ছাড়া ময়মনসিংহে ছায়াবাণীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কিছু প্রেক্ষাগৃহে কালোবাজারে ‘হাওয়া’র টিকিট বিক্রির খবর পাওয়া গেছে।
সিনেমা দেখতে মারামারি
‘হাওয়া’ সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহের সামনে মারামারির ঘটনার খবরও পাওয়া গেছে। মুক্তির প্রথম দিন সন্ধ্যার শোতে মধুমিতা হলের সামনে এক কালোবাজারির সঙ্গে দর্শকের মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন হলটির কর্ণধার ইফতেখার নওশাদ। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে। মানুষ অনেকটা উতলা হয়ে দল বেঁধে সিনেমাটি দেখতে আসছেন। শুনলাম, এক কালোবাজারির সঙ্গে দর্শকের মারামারি হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন।’ ময়মনসিংহে ছায়াবাণী সিনেমা হলের সামনেও দর্শকের চাপে বিশৃঙ্খলার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভেসে বেড়াতে দেখা গেছে। ভিডিওটি নিয়ে হলের কর্ণধার কামাল হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, দর্শকের প্রচণ্ড চাপ ছিল। এক হাজার আসন পূর্ণ হয়েও বাড়তি দর্শক ছিলেন হলে। নারী দর্শকও ছিলেন অনেক। দর্শকের চাপে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। পরে পুলিশের সহায়তা নিতে হয়েছে।
শিল্পীরাই টিকিট পাচ্ছেন না
মুক্তির আগের দিন সন্ধ্যায় ছবির চান মাঝি চরিত্রের চঞ্চল চৌধুরী তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের জন্য কিছু টিকিট কাটতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পাননি। তিনি বলেন, ‘প্রথম শো দেখার জন্য পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবের জন্য কিছু টিকিট কাটতে চেয়েছিলাম। খোঁজ নিয়ে দেখলাম, কোথাও টিকিট নেই। আজও কয়েকজন কাছের মানুষ টিকিটের জন্য বলেছেন। ব্যবস্থা করতে পারিনি। ভাবছি, চাপ কিছুটা কমলে ব্যবস্থা করতে হবে।’
ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিতে স্টার সিনেপ্লেক্সের সিঁড়িতে বসেই ‘হাওয়া’ উপভোগ করতে দেখা গেছে ছবির গুলতি চরিত্রে অভিনয় করা নাজিফা তুষিকে। তিনি বলেন, ‘মুক্তির আগের দিন নিজের জন্য পাঁচটি টিকিট সংগ্রহ করতে চেয়েছিলাম। শুনি, আগেই সোল্ড আউট। নিজেই হলের মধ্যে সিঁড়িতে বসে দেখেছি।’ চঞ্চল, নাজিফা ছাড়াও ছবির বেশ কয়েকজন শিল্পী টিকিট না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
শো বাড়ল
দর্শকের চাহিদায় ‘হাওয়া’র শো বাড়াতে হয়েছে মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে। স্টার সিনেপ্লেক্সের পাঁচটি শাখায় ২৬টি শো দিয়ে শুক্রবার মুক্তি পায় ছবিটি। কিন্তু মুক্তির প্রথম দিনই দর্শকের চাপে দুটি শো বাড়াতে হয়েছে। শনিবারও বেড়েছে একটি শো। মাল্টিপ্লেক্সটির জ্যৈষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রথম দিন ২৬টি শোর সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দর্শকের আগ্রহের কারণে ওই দিন আরও দুটি শো বাড়াতে হয়েছে। নিয়মিতভাবে ২৬টি শোই চলছে। কিন্তু চাপ বাড়লে তাৎক্ষণিকভাবে শো বাড়াচ্ছি। আজও একটি শো বাড়াতে হয়েছে।’
যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসের ‘হাওয়া’র ৯টি শো ছিল। কিন্তু মুক্তির আগের দিন সন্ধ্যায় দর্শকের চাপ বেড়ে যায়। এ জন্য আরও পাঁচটি শো বাড়াতে হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুড়িগঙ্গার ওপারে লায়ন সিনেমাসে ‘হাওয়া’র নির্ধারিত শো থেকে তিনটি বাড়িয়ে ১১টি করা হয়েছে।
‘গত ২০ বছরেও এমন দৃশ্য দেখিনি’
কালোবাজারে চড়া দামে ‘হাওয়া’র টিকিট বিক্রি হচ্ছে, বিষয়টি নেতিবাচক হলেও এতে বোঝা যায়, ছবিটি নিয়ে দর্শকের আগ্রহ কতটা; যা চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টদের অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছে নব্বই দশকের স্মৃতি। ঢাকার মধুমিতা, শ্যামলী সিনেপ্লেক্সসহ বেশ কিছু জায়গায় কালোবাজারে ‘হাওয়া’র টিকিট বিক্রির খবর শোনা যাচ্ছে। মধুমিতা হলের কর্ণধার ইফতেখার নওশাদ বলেন, ‘প্রথম দিন আমার হলে ব্ল্যাকে টিকিট বিক্রির খবর শুনেছি। শুনলাম, ১৫০ টাকার ডিসির টিকিট ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। গত ২০ বছরেও আমার হলে এমন দৃশ্য দেখিনি।’ শ্যামলী সিনেপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আহসানুল্লাহ জানালেন, তাঁদের হলেও কিছু কিছু টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে, ‘দর্শকের চাপেই এমনটি হচ্ছে। শুনেছি, ২০০ ও ২৫০ টাকার টিকিট ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।’ এ ছাড়া ময়মনসিংহে ছায়াবাণীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কিছু প্রেক্ষাগৃহে কালোবাজারে ‘হাওয়া’র টিকিট বিক্রির খবর পাওয়া গেছে।
সিনেমা দেখতে মারামারি
‘হাওয়া’ সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহের সামনে মারামারির ঘটনার খবরও পাওয়া গেছে। মুক্তির প্রথম দিন সন্ধ্যার শোতে মধুমিতা হলের সামনে এক কালোবাজারির সঙ্গে দর্শকের মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন হলটির কর্ণধার ইফতেখার নওশাদ। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে। মানুষ অনেকটা উতলা হয়ে দল বেঁধে সিনেমাটি দেখতে আসছেন। শুনলাম, এক কালোবাজারির সঙ্গে দর্শকের মারামারি হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন।’ ময়মনসিংহে ছায়াবাণী সিনেমা হলের সামনেও দর্শকের চাপে বিশৃঙ্খলার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভেসে বেড়াতে দেখা গেছে। ভিডিওটি নিয়ে হলের কর্ণধার কামাল হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, দর্শকের প্রচণ্ড চাপ ছিল। এক হাজার আসন পূর্ণ হয়েও বাড়তি দর্শক ছিলেন হলে। নারী দর্শকও ছিলেন অনেক। দর্শকের চাপে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। পরে পুলিশের সহায়তা নিতে হয়েছে।
শিল্পীরাই টিকিট পাচ্ছেন না
মুক্তির আগের দিন সন্ধ্যায় ছবির চান মাঝি চরিত্রের চঞ্চল চৌধুরী তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের জন্য কিছু টিকিট কাটতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পাননি। তিনি বলেন, ‘প্রথম শো দেখার জন্য পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবের জন্য কিছু টিকিট কাটতে চেয়েছিলাম। খোঁজ নিয়ে দেখলাম, কোথাও টিকিট নেই। আজও কয়েকজন কাছের মানুষ টিকিটের জন্য বলেছেন। ব্যবস্থা করতে পারিনি। ভাবছি, চাপ কিছুটা কমলে ব্যবস্থা করতে হবে।’
ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিতে স্টার সিনেপ্লেক্সের সিঁড়িতে বসেই ‘হাওয়া’ উপভোগ করতে দেখা গেছে ছবির গুলতি চরিত্রে অভিনয় করা নাজিফা তুষিকে। তিনি বলেন, ‘মুক্তির আগের দিন নিজের জন্য পাঁচটি টিকিট সংগ্রহ করতে চেয়েছিলাম। শুনি, আগেই সোল্ড আউট। নিজেই হলের মধ্যে সিঁড়িতে বসে দেখেছি।’ চঞ্চল, নাজিফা ছাড়াও ছবির বেশ কয়েকজন শিল্পী টিকিট না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
শো বাড়ল
দর্শকের চাহিদায় ‘হাওয়া’র শো বাড়াতে হয়েছে মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে। স্টার সিনেপ্লেক্সের পাঁচটি শাখায় ২৬টি শো দিয়ে শুক্রবার মুক্তি পায় ছবিটি। কিন্তু মুক্তির প্রথম দিনই দর্শকের চাপে দুটি শো বাড়াতে হয়েছে। শনিবারও বেড়েছে একটি শো। মাল্টিপ্লেক্সটির জ্যৈষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রথম দিন ২৬টি শোর সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দর্শকের আগ্রহের কারণে ওই দিন আরও দুটি শো বাড়াতে হয়েছে। নিয়মিতভাবে ২৬টি শোই চলছে। কিন্তু চাপ বাড়লে তাৎক্ষণিকভাবে শো বাড়াচ্ছি। আজও একটি শো বাড়াতে হয়েছে।’
যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসের ‘হাওয়া’র ৯টি শো ছিল। কিন্তু মুক্তির আগের দিন সন্ধ্যায় দর্শকের চাপ বেড়ে যায়। এ জন্য আরও পাঁচটি শো বাড়াতে হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুড়িগঙ্গার ওপারে লায়ন সিনেমাসে ‘হাওয়া’র নির্ধারিত শো থেকে তিনটি বাড়িয়ে ১১টি করা হয়েছে।
‘গত ২০ বছরেও এমন দৃশ্য দেখিনি’
কালোবাজারে চড়া দামে ‘হাওয়া’র টিকিট বিক্রি হচ্ছে, বিষয়টি নেতিবাচক হলেও এতে বোঝা যায়, ছবিটি নিয়ে দর্শকের আগ্রহ কতটা; যা চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টদের অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছে নব্বই দশকের স্মৃতি। ঢাকার মধুমিতা, শ্যামলী সিনেপ্লেক্সসহ বেশ কিছু জায়গায় কালোবাজারে ‘হাওয়া’র টিকিট বিক্রির খবর শোনা যাচ্ছে। মধুমিতা হলের কর্ণধার ইফতেখার নওশাদ বলেন, ‘প্রথম দিন আমার হলে ব্ল্যাকে টিকিট বিক্রির খবর শুনেছি। শুনলাম, ১৫০ টাকার ডিসির টিকিট ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। গত ২০ বছরেও আমার হলে এমন দৃশ্য দেখিনি।’ শ্যামলী সিনেপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আহসানুল্লাহ জানালেন, তাঁদের হলেও কিছু কিছু টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে, ‘দর্শকের চাপেই এমনটি হচ্ছে। শুনেছি, ২০০ ও ২৫০ টাকার টিকিট ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।’ এ ছাড়া ময়মনসিংহে ছায়াবাণীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কিছু প্রেক্ষাগৃহে কালোবাজারে ‘হাওয়া’র টিকিট বিক্রির খবর পাওয়া গেছে।
সিনেমা দেখতে মারামারি
‘হাওয়া’ সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহের সামনে মারামারির ঘটনার খবরও পাওয়া গেছে। মুক্তির প্রথম দিন সন্ধ্যার শোতে মধুমিতা হলের সামনে এক কালোবাজারির সঙ্গে দর্শকের মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন হলটির কর্ণধার ইফতেখার নওশাদ। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে। মানুষ অনেকটা উতলা হয়ে দল বেঁধে সিনেমাটি দেখতে আসছেন। শুনলাম, এক কালোবাজারির সঙ্গে দর্শকের মারামারি হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন।’ ময়মনসিংহে ছায়াবাণী সিনেমা হলের সামনেও দর্শকের চাপে বিশৃঙ্খলার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভেসে বেড়াতে দেখা গেছে। ভিডিওটি নিয়ে হলের কর্ণধার কামাল হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, দর্শকের প্রচণ্ড চাপ ছিল। এক হাজার আসন পূর্ণ হয়েও বাড়তি দর্শক ছিলেন হলে। নারী দর্শকও ছিলেন অনেক। দর্শকের চাপে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। পরে পুলিশের সহায়তা নিতে হয়েছে।
শিল্পীরাই টিকিট পাচ্ছেন না
মুক্তির আগের দিন সন্ধ্যায় ছবির চান মাঝি চরিত্রের চঞ্চল চৌধুরী তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের জন্য কিছু টিকিট কাটতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পাননি। তিনি বলেন, ‘প্রথম শো দেখার জন্য পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবের জন্য কিছু টিকিট কাটতে চেয়েছিলাম। খোঁজ নিয়ে দেখলাম, কোথাও টিকিট নেই। আজও কয়েকজন কাছের মানুষ টিকিটের জন্য বলেছেন। ব্যবস্থা করতে পারিনি। ভাবছি, চাপ কিছুটা কমলে ব্যবস্থা করতে হবে।’
ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিতে স্টার সিনেপ্লেক্সের সিঁড়িতে বসেই ‘হাওয়া’ উপভোগ করতে দেখা গেছে ছবির গুলতি চরিত্রে অভিনয় করা নাজিফা তুষিকে। তিনি বলেন, ‘মুক্তির আগের দিন নিজের জন্য পাঁচটি টিকিট সংগ্রহ করতে চেয়েছিলাম। শুনি, আগেই সোল্ড আউট। নিজেই হলের মধ্যে সিঁড়িতে বসে দেখেছি।’ চঞ্চল, নাজিফা ছাড়াও ছবির বেশ কয়েকজন শিল্পী টিকিট না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
শো বাড়ল
দর্শকের চাহিদায় ‘হাওয়া’র শো বাড়াতে হয়েছে মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে। স্টার সিনেপ্লেক্সের পাঁচটি শাখায় ২৬টি শো দিয়ে শুক্রবার মুক্তি পায় ছবিটি। কিন্তু মুক্তির প্রথম দিনই দর্শকের চাপে দুটি শো বাড়াতে হয়েছে। শনিবারও বেড়েছে একটি শো। মাল্টিপ্লেক্সটির জ্যৈষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রথম দিন ২৬টি শোর সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দর্শকের আগ্রহের কারণে ওই দিন আরও দুটি শো বাড়াতে হয়েছে। নিয়মিতভাবে ২৬টি শোই চলছে। কিন্তু চাপ বাড়লে তাৎক্ষণিকভাবে শো বাড়াচ্ছি। আজও একটি শো বাড়াতে হয়েছে।’
যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসের ‘হাওয়া’র ৯টি শো ছিল। কিন্তু মুক্তির আগের দিন সন্ধ্যায় দর্শকের চাপ বেড়ে যায়। এ জন্য আরও পাঁচটি শো বাড়াতে হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুড়িগঙ্গার ওপারে লায়ন সিনেমাসে ‘হাওয়া’র নির্ধারিত শো থেকে তিনটি বাড়িয়ে ১১টি করা হয়েছে।
‘গত ২০ বছরেও এমন দৃশ্য দেখিনি’
কালোবাজারে চড়া দামে ‘হাওয়া’র টিকিট বিক্রি হচ্ছে, বিষয়টি নেতিবাচক হলেও এতে বোঝা যায়, ছবিটি নিয়ে দর্শকের আগ্রহ কতটা; যা চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টদের অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছে নব্বই দশকের স্মৃতি। ঢাকার মধুমিতা, শ্যামলী সিনেপ্লেক্সসহ বেশ কিছু জায়গায় কালোবাজারে ‘হাওয়া’র টিকিট বিক্রির খবর শোনা যাচ্ছে। মধুমিতা হলের কর্ণধার ইফতেখার নওশাদ বলেন, ‘প্রথম দিন আমার হলে ব্ল্যাকে টিকিট বিক্রির খবর শুনেছি। শুনলাম, ১৫০ টাকার ডিসির টিকিট ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। গত ২০ বছরেও আমার হলে এমন দৃশ্য দেখিনি।’ শ্যামলী সিনেপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আহসানুল্লাহ জানালেন, তাঁদের হলেও কিছু কিছু টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে, ‘দর্শকের চাপেই এমনটি হচ্ছে। শুনেছি, ২০০ ও ২৫০ টাকার টিকিট ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।’ এ ছাড়া ময়মনসিংহে ছায়াবাণীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কিছু প্রেক্ষাগৃহে কালোবাজারে ‘হাওয়া’র টিকিট বিক্রির খবর পাওয়া গেছে।
সিনেমা দেখতে মারামারি
‘হাওয়া’ সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহের সামনে মারামারির ঘটনার খবরও পাওয়া গেছে। মুক্তির প্রথম দিন সন্ধ্যার শোতে মধুমিতা হলের সামনে এক কালোবাজারির সঙ্গে দর্শকের মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন হলটির কর্ণধার ইফতেখার নওশাদ। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে। মানুষ অনেকটা উতলা হয়ে দল বেঁধে সিনেমাটি দেখতে আসছেন। শুনলাম, এক কালোবাজারির সঙ্গে দর্শকের মারামারি হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন।’ ময়মনসিংহে ছায়াবাণী সিনেমা হলের সামনেও দর্শকের চাপে বিশৃঙ্খলার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভেসে বেড়াতে দেখা গেছে। ভিডিওটি নিয়ে হলের কর্ণধার কামাল হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, দর্শকের প্রচণ্ড চাপ ছিল। এক হাজার আসন পূর্ণ হয়েও বাড়তি দর্শক ছিলেন হলে। নারী দর্শকও ছিলেন অনেক। দর্শকের চাপে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। পরে পুলিশের সহায়তা নিতে হয়েছে।
শিল্পীরাই টিকিট পাচ্ছেন না
মুক্তির আগের দিন সন্ধ্যায় ছবির চান মাঝি চরিত্রের চঞ্চল চৌধুরী তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের জন্য কিছু টিকিট কাটতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পাননি। তিনি বলেন, ‘প্রথম শো দেখার জন্য পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবের জন্য কিছু টিকিট কাটতে চেয়েছিলাম। খোঁজ নিয়ে দেখলাম, কোথাও টিকিট নেই। আজও কয়েকজন কাছের মানুষ টিকিটের জন্য বলেছেন। ব্যবস্থা করতে পারিনি। ভাবছি, চাপ কিছুটা কমলে ব্যবস্থা করতে হবে।’
ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিতে স্টার সিনেপ্লেক্সের সিঁড়িতে বসেই ‘হাওয়া’ উপভোগ করতে দেখা গেছে ছবির গুলতি চরিত্রে অভিনয় করা নাজিফা তুষিকে। তিনি বলেন, ‘মুক্তির আগের দিন নিজের জন্য পাঁচটি টিকিট সংগ্রহ করতে চেয়েছিলাম। শুনি, আগেই সোল্ড আউট। নিজেই হলের মধ্যে সিঁড়িতে বসে দেখেছি।’ চঞ্চল, নাজিফা ছাড়াও ছবির বেশ কয়েকজন শিল্পী টিকিট না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
শো বাড়ল
দর্শকের চাহিদায় ‘হাওয়া’র শো বাড়াতে হয়েছে মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে। স্টার সিনেপ্লেক্সের পাঁচটি শাখায় ২৬টি শো দিয়ে শুক্রবার মুক্তি পায় ছবিটি। কিন্তু মুক্তির প্রথম দিনই দর্শকের চাপে দুটি শো বাড়াতে হয়েছে। শনিবারও বেড়েছে একটি শো। মাল্টিপ্লেক্সটির জ্যৈষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রথম দিন ২৬টি শোর সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দর্শকের আগ্রহের কারণে ওই দিন আরও দুটি শো বাড়াতে হয়েছে। নিয়মিতভাবে ২৬টি শোই চলছে। কিন্তু চাপ বাড়লে তাৎক্ষণিকভাবে শো বাড়াচ্ছি। আজও একটি শো বাড়াতে হয়েছে।’
যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসের ‘হাওয়া’র ৯টি শো ছিল। কিন্তু মুক্তির আগের দিন সন্ধ্যায় দর্শকের চাপ বেড়ে যায়। এ জন্য আরও পাঁচটি শো বাড়াতে হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুড়িগঙ্গার ওপারে লায়ন সিনেমাসে ‘হাওয়া’র নির্ধারিত শো থেকে তিনটি বাড়িয়ে ১১টি করা হয়েছে।