অনেক শিশুই বাবা-মায়ের কাছে ছোট ছোট মিথ্যা বলে।তা নিয়ে অনেকে মজাও করেন।কিন্তু বিষয়টি মজার নয়। এ সময় থেকে সাবধান হতে হবে।শিশুকে যেমন শেখাতে হবে যে সত্যি বলা প্রয়োজন,তেমনই বুঝতে হবে সে কেন সত্য গোপন করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে,শিশুদের মধ্যে মিথ্যা বলার প্রবণতা বাড়তে দিলেই মুশকিল।তাতে মিথ্যা বলা অভ্যাসে পরিণত হয়।পরবর্তীতে এ স্বভাবই বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,যদি দেখেন শিশু মিথ্যা বলছে,তবে প্রথমেই বকুনি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।বরং তাকে বোঝাতে হবে যে,মিথ্যা বলাও খারাপ লাগার কারণ হতে পারে।যদি সে এমন কিছু কাজ লুকোতে চায়, যা তার বাবা-মায়ের পছন্দের নয়,তবে তাকে সে কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে শিখতে হবে।কিন্তু মিথ্যা বলা যে আসলে কোনও সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে না,ছোট থেকেই বোঝানো জরুরি সন্তানকে।
যদি সে কোন ধরনের গল্প বানিয়ে বলে তখন তাকে বলতে পারেন,বাহ,গল্পটা তো খুবই চমৎকার।এটা দিযে আমরা একটা বই লিখতে পারি।তাহলে মিথ্যা বলা ছাড়াই তার মধ্যে কল্পনাশক্তি বাড়বে।
কোনো পরিস্থিতিতে যাতে শিশুকে মিথ্যা বলতে না হয় সেটা খেয়াল রাখুন।যেমন – আপনার শিশুটি হয়তো কিছু নষ্ট করে ফেলেছে আর আপনাকে লুকাতে মিথ্যা বলার চেষ্টা করছে।তার আগেই শিশুকে বলুন,আমি দেখেছি তুমি এটা করেছ।চলো পরিষ্কার করে ফেলি।এরপরে সাবধানে করো।
ভুল করলেও তা তাকে স্বীকার করতে দিন।যদি সে সত্য বলে,তখন তাকে বলবেন,আমি খুব খুশী হয়েছি তুমি সত্যটা বলেছ।এটা থেকে সে পরিবারের মূল্যবোধ বুঝতে পারবে।শিশুদের এমন গল্প পড়ে শোনান যেখানে সততাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে ধীরে ধীরে জীবনে সত্য-মিথ্যার গ্রহণযোগ্যতা বোঝান।