তিনি যে হাসপাতালে ভর্তি, সে খবর নিমেষে সারা দেশের অনুরাগীদের দুশ্চিন্তায় নিমজ্জিত করেছিল। ১০ ফেব্রুয়ারি ‘শাস্ত্রী’ ছবির শুটিংয়ে যাওয়ার আগে অসুস্থ বোধ করেন মিঠুন। তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসকরা জানান, অভিনেতা ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। অভিনেতার অসুস্থতার খবর পেয়ে টলিপাড়ার অনেকেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোনে মিঠুনের স্বাস্থের খোঁজ নেন। ১২ ফেব্রুয়ারি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছুটি পান মিঠুন। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো কলকাতায় বোনের বাড়িতেই বিগত কয়েকদিন বিশ্রামে ছিলেন অভিনেতা। সোমবার তিনি চেনা ছন্দে ‘শাস্ত্রী’ ছবির শুটিংয়ে ফিরলেন।
প্রথমে কথা ছিল ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুটিং শুরু করবেন মিঠুন। কিন্তু হাসপাতালে থাকার জন্য দু’দিন ছবির শুটিং করতে পারনেনি অভিনেতা। তাই কথা দিয়েছিলেন ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি ফ্লোরে ফিরবেন। কথা রাখলেন মিঠুন। শুটিং লোকেশন বানতলা। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ শুটিং ফ্লোরে উপস্থিত হন ‘মহাগুরু’। হাসি মুখেই ফ্লোরে প্রবেশ করেন তিনি।
মিঠুনের অসুস্থতার খবরে সোহম চক্রবর্তী প্রযোজিত এই ছবির শুটিং নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সোমবার মিঠুনের প্রত্যাবর্তনে ইউনিটের প্রত্যেকের মুখেই হাসির ঝলক। ইউনিট সূত্রে খবর, প্রথম দিন অভিনেতা যেমন চেয়েছেন সেই ভাবেই শুটিং করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁকে বিশ্রামও দেওয়া হয়েছে। মিঠুনকে নিয়ে পুনরায় ছবির শুটিং শুরু করতে পেরে খুশি ছবির পরিচালক পথিকৃৎ বসু। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, ‘‘মিঠুনদা নতুন উদ্যমে শুটিং শুরু করেছেন। ওঁকে দেখে আমরাও উচ্ছ্বসিত। লাঞ্চ ব্রেকের আগে দুটো দৃশ্যের শুটিংও করে ফেলেছি আমরা।’’
সোমবার মিঠুনের সঙ্গে ফ্লোরে ছিলেন অভিনেতা রজতাভ দত্ত। ইউনিট সূত্রে খবর, মিঠুন ফ্লোরে ফিরে প্রচন্ড খুশি। প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ দিন সকলের কেমন কেটেছে তার খোঁজখবর নিয়েছেন। অভিনেতার অসুস্থতার পর নির্মাতাদের নতুন করে শুটিং শিডিউলের পরিকল্পনা করতে হয়েছে। আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত চলবে ছবির শুটিং। আগামী দুর্গা পুজোয় ‘শাস্ত্রী’ মুক্তি পাওয়ার কথা।