বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ও সেই সঙ্গে পরবর্তীতে রাজধানীর হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে বিভিন্ন সংস্থার অভিযানে জেল, জরিমানা, সিলগালা ও করার কারণে বিক্রি নেমে এসেছে অর্ধেকে। বর্তমানে হোটেল-রেস্তোরাঁয় যারা খেতে আসছেন, তারা নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা প্রশ্ন করছেন রেস্তোরাঁ মালিকদের। ভোক্তারা বলছেন, বেইলি রোডের ঘটনায় যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, তাতে প্রিয়জন নিয়ে তারা আর রেস্তোরাঁয় বসার সাহস পাচ্ছেন না।
রাজধানীর জিগাতলায় অবস্থিত সুলতান ডাইনে সবসময় ভোজনরসিকদের ভিড় লেগেই থাকে। খাবারের সেরা স্বাদ নিতে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ সেখানে যান। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় দেখা যায় একেবারে চুপচাপ, শান্ত পরিবেশ। অন্যান্য দিনে সন্ধ্যার এই সময়ে যখন ১০০-১৫০ জন লোক খেতেন। সেখানে মাত্র ২০-৩০ জন এক কোণে বসে কাচ্চি বিরিয়ানি খাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুলতান ডাইনের একজন বলেন, ‘বেইলি রোডে আগুন লাগা ও বিভিন্ন দপ্তরের অভিযানের পর স্বাভাবিকভাবেই মানুষজন হোটেল-রেস্তোরাঁয় কম আসছেন। যারাই আসছেন তারা জিজ্ঞাসা করছেন, ফায়ার এক্সিট আছে কি না। তাদের অনেকেই খাবার পার্সেল করে নিয়ে যাচ্ছেন।’
ধানমন্ডির ‘রয়েল ব্যুফে’র কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এখানে ক্রেতা(খেতে আসা লোক) আসা কমে গেছে। বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
‘রয়েল ব্যুফে’র খেতে আসা আশিক রহমান বলেন, ‘সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন বাইরের খাবার খাই। কিন্তু বৃহস্পতিবারের অগ্নিকাণ্ডের পর মনে আতঙ্ক গ্রাস করেছে। বাড়ির বাইরে থাকলে এখন আমার পরিবারও খোঁজখবর নিতে শুরু করে।’
পুরান ঢাকার জয়কালি মন্দির এলাকায় অবস্থিত হোটেল সুপারে ৬ মার্চ দুপুর বেলা গিয়ে দেখা যায় ১৫-২০ জন বিভিন্ন টেবিলে আসন পেতে খাচ্ছেন। অথচ অন্যান্য দিনে এই সময়ে ৪০-৫০ জন লোক খেতেন।
শুধু হোটেল সুপার নয়, মতিঝিল থেকে গুলশান ঢাকার প্রায় সব হোটেল-রেস্তোরাঁর একই অবস্থা। বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রেস্তোরাঁ ব্যবসায় প্রভাব ফেলেছে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি’ ভবনে ভয়াবহ আগুনের পর পুলিশ রাজউক, সিটি করপোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর অভিযান শুরু করেছে। ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক ভবন ও রেস্তোরাঁ সিলগালা, জরিমানা ও ভাঙচুর হয়েছে। পুলিশি অভিযানে প্রসিকিউশনে প্রায় ১ হাজার আটক-গ্রেফতার করে আদালত থেকে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এখনও বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ৪ লাখ ৮১ হাজার রেস্টুরেন্ট রয়েছে, যেখানে ৩০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান আছে। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির (বিআরওএ) তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দুই কোটি মানুষ এ খাতের ওপর নির্ভরশীল।
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, ‘বেশির ভাগ রেস্তোরাঁর বিক্রি খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, রাজধানীজুড়েই বিক্রি কমেছে। আমরা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা চাই, সবাই রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির অধীনে আসুক। অর্থাৎ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ছাড়পত্র ছাড়া কেউ ব্যবসা করতে পারবেন না।’
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ও সেই সঙ্গে পরবর্তীতে রাজধানীর হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে বিভিন্ন সংস্থার অভিযানে জেল, জরিমানা, সিলগালা ও করার কারণে বিক্রি নেমে এসেছে অর্ধেকে। বর্তমানে হোটেল-রেস্তোরাঁয় যারা খেতে আসছেন, তারা নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা প্রশ্ন করছেন রেস্তোরাঁ মালিকদের। ভোক্তারা বলছেন, বেইলি রোডের ঘটনায় যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, তাতে প্রিয়জন নিয়ে তারা আর রেস্তোরাঁয় বসার সাহস পাচ্ছেন না।
রাজধানীর জিগাতলায় অবস্থিত সুলতান ডাইনে সবসময় ভোজনরসিকদের ভিড় লেগেই থাকে। খাবারের সেরা স্বাদ নিতে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ সেখানে যান। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় দেখা যায় একেবারে চুপচাপ, শান্ত পরিবেশ। অন্যান্য দিনে সন্ধ্যার এই সময়ে যখন ১০০-১৫০ জন লোক খেতেন। সেখানে মাত্র ২০-৩০ জন এক কোণে বসে কাচ্চি বিরিয়ানি খাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুলতান ডাইনের একজন বলেন, ‘বেইলি রোডে আগুন লাগা ও বিভিন্ন দপ্তরের অভিযানের পর স্বাভাবিকভাবেই মানুষজন হোটেল-রেস্তোরাঁয় কম আসছেন। যারাই আসছেন তারা জিজ্ঞাসা করছেন, ফায়ার এক্সিট আছে কি না। তাদের অনেকেই খাবার পার্সেল করে নিয়ে যাচ্ছেন।’
ধানমন্ডির ‘রয়েল ব্যুফে’র কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এখানে ক্রেতা(খেতে আসা লোক) আসা কমে গেছে। বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
‘রয়েল ব্যুফে’র খেতে আসা আশিক রহমান বলেন, ‘সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন বাইরের খাবার খাই। কিন্তু বৃহস্পতিবারের অগ্নিকাণ্ডের পর মনে আতঙ্ক গ্রাস করেছে। বাড়ির বাইরে থাকলে এখন আমার পরিবারও খোঁজখবর নিতে শুরু করে।’
পুরান ঢাকার জয়কালি মন্দির এলাকায় অবস্থিত হোটেল সুপারে ৬ মার্চ দুপুর বেলা গিয়ে দেখা যায় ১৫-২০ জন বিভিন্ন টেবিলে আসন পেতে খাচ্ছেন। অথচ অন্যান্য দিনে এই সময়ে ৪০-৫০ জন লোক খেতেন।
শুধু হোটেল সুপার নয়, মতিঝিল থেকে গুলশান ঢাকার প্রায় সব হোটেল-রেস্তোরাঁর একই অবস্থা। বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রেস্তোরাঁ ব্যবসায় প্রভাব ফেলেছে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি’ ভবনে ভয়াবহ আগুনের পর পুলিশ রাজউক, সিটি করপোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর অভিযান শুরু করেছে। ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক ভবন ও রেস্তোরাঁ সিলগালা, জরিমানা ও ভাঙচুর হয়েছে। পুলিশি অভিযানে প্রসিকিউশনে প্রায় ১ হাজার আটক-গ্রেফতার করে আদালত থেকে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এখনও বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ৪ লাখ ৮১ হাজার রেস্টুরেন্ট রয়েছে, যেখানে ৩০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান আছে। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির (বিআরওএ) তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দুই কোটি মানুষ এ খাতের ওপর নির্ভরশীল।
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, ‘বেশির ভাগ রেস্তোরাঁর বিক্রি খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, রাজধানীজুড়েই বিক্রি কমেছে। আমরা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা চাই, সবাই রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির অধীনে আসুক। অর্থাৎ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ছাড়পত্র ছাড়া কেউ ব্যবসা করতে পারবেন না।’