পাবনার সাঁথিয়া উপজলার নন্দনপুর ইউনিয়নের সুদরকাদি গ্রামে জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে মামলা, হামলার ঘটনায় ছেলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করলেন পিতা আলহাজ্ব মাওলানা আবু তাহের মিয়া (৮০)।
শনিবার(২৩ মার্চ) দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার মোট জমি দুই স্ত্রীর সন্তানদের মধ্যে অংশ হিসেবে রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছি। সে অনুযায়ী ছোট ছেলে ফয়সাল জমি দখল নিতে গেলে ফিরোজ ও ফরিদ বাধা দেয়। ফিরোজ পাবনায় থাকা ফারুককে মোবাইলে জানালে শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে তার প্রথম পক্ষের ছেলে পাবনা শহরে বসবাসরত মাহবুবুল আলম ফারুক (৪৫) পাবনা থেকে সরকারি স্ট্রিকার যুক্ত পাজেরা জিপ গাড়িতে (ঢাকা মেট্রো- ঘ ১১-১৬১৮) ৫/৭ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে এসে হামলা চালায় এবং আমার দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে শামসুল আলম ফয়সালকে (২৫) মেরে ফোলার জন্য খুঁজতে থাকে। প্রাণভয়ে ফয়সাল পালিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ সময় আমি, আমার স্ত্রী ও পুত্রবধূর আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে। ফারুকসহ তার হেলমেট পরিহিত সহযোগীরা এলাকাবাসীর উপর হামলা করে। এলাকাবাসী তাদের প্রতিহত করতে গেলে গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে এবং সন্ত্রাসীদের আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে গাড়িসহ থানায় নিয়ে যায়। থানায় আমার ছেলে ফয়সাল বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। বরং উল্টা ফারুক বাদী হয়ে ফয়সালসহ ৭ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের নামে মিথ্যা মামলা করে। আমি উক্ত মামলার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানিয়ে আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট ন্যায় বিচার দাবি করছি।
সাংবাদিক সম্মেলনে ফয়সালের মা সালমা বেগম, স্ত্রী মনিরা আক্তার, প্রতিবেশি ইন্তাজ আলী, ইয়াছিন আলী, ছাত্তার প্রাংসহ এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।