আর্জেন্টিনার এক স্থানীয় ফুটবলারকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর গ্রেফতারও করা হয়েছে। ফুটবল ম্যাচ চলাকালে এক নারী রেফারিকে আক্রমণ করে বসেছিলেন তিনি। যে কারণে তাকে এতবড় শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে। ইএসপিএন জানিয়েছে এ তথ্য।
তৃতীয় বিভাগের ক্লাব দেপোর্তিভো গার্মেন্সের এই ফুটবলারের নাম ক্রিস্টিয়ান টাইরোন। নারী রেফারি দালমা কোর্তাদির ঘাড়ের পেছনের অংশে ঘুষি মারেন টাইরোন। এই ঘটনার পর মাঠ থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার রেফারি দালমা কোর্তাদি তার ওপর ঘটে যাওয়া এই আক্রমণের ঘটনায় বিচার দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমি আকষ্মিক এই হামলার পর মাঠের মধ্যে পড়ে যাই। শুধু তাই নয়, ওই মুহূর্তে আমি কিছু মনেই করতে পারছিলাম না। যখন উঠে দাঁড়াতে সক্ষম হলাম, তখন খুবই খারাপ লাগছিলো এবং মনে হচ্ছিলো কেউ আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর কখনও না ঘটে, সে জন্য আমি যথাপোযুক্ত বিচার দাবি করছি।
ওই ঘটনার পর স্থানীয় হাসপাতালে কয়েক ঘণ্টা চিকিৎসকের চেম্বারে কাটাতে হয়েছে কোর্তাদিকে। এরপর কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেন। আর্জেন্টিনার রেডিও একটিভা ৯৭.৯ এফএম কে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এখানে লিঙ্গ কোনো বিষয় নয়। হয়তো আমি নারী বলে সবাই আলাদা মনে করছে। কিন্তু এ ধরনের ঘটনার শিকার তো কোনো পুরুষের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে।’
ট্রেস আরোয়োস স্টেডিয়ামে বুয়েন্স আয়ার্সের স্থানীয় তৃতীয় বিভাগ লিগের খেলা দেপোর্তিভো ইন্ডেপেন্ডসিয়া এবং দেপোর্তিভো গার্মেন্সের মধ্যকার খেলা চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর ম্যাচটিকে সঙ্গে সঙ্গেই বাতিল ঘোষণা করা হয় এবং এরপরপরই টাইরোনকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। দেপোর্তিভো গার্মেন্সের বিপক্ষেও আক্রমণাত্মক আচরণ বহিঃপ্রকাশের অভিযোগ আনা হয়েছে।