ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ডামাডোলে টালমাটাল হয়ে উঠেছিল দেশের অর্থনীতি। ক্রমান্বয়ে বাড়ছিল মূল্যস্ফীতির হার। ভোজ্যতেল ও গমসহ নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বি ছিল। এর প্রভাবে জুন মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ব্যাপক বেড়ে যায়। তবে জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমায় স্বস্তি ফিরেছে। গত মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিলো ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ, জুন মাসে যা ছিলো ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অন্যদিকে, জুনে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিলো ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর জুলাইয়ে সেটি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ।
বুধবার (৩ আগস্ট) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া জুলাই মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এসব তথ্য জানানো হয়।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, যারা বলেছিলো বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, তাদের বলতে চাই, আমরা শ্রীলঙ্কা হইনি, হবোও না। মূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করেছে। খাদ্যের জাহাজ রাশিয়া থেকে সাগরে ভাসতে ভাসতে আমাদের তীরে আসবে।
৪২২টি পণ্যের গড় করে মূল্যস্ফীতি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তেল, চাল ও গমের দাম কমছে। সামনে মূল্যস্ফীতির কমতির ধারা অব্যাহত থাকবে। এটি আমাদের জন্য ভালো খবর। মূল্যস্ফীতি বাড়লে মানুষের কষ্ট হয়।
বিবিএসের তথ্যমতে, পেঁয়াজ, ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ফল, তামাক, দুগ্ধজাতীয় পণ্য এবং অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর দাম কিছুটা কমেছে। ডিম, শাকসবজি ও মসলা জাতীয় পণ্যের দামও কমছে বলে দাবি সংস্থাটির।
এদিকে, খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে জুলাই মাসে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ হয়েছে, জুন মাসে যা ছিল ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ সময়ে বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবাখাতের মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
Itís hard to find well-informed people for this subject, but you seem like you know what youíre talking about! Thanks