ঢাকার বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ এবং রাজধানী ঢাকা এখন বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
চিলির সান্তিয়াগো, কিস্তানের লাহোর ও সৌদি আরবের রিয়াদ যথাক্রমে ১৬২,৬০ ও ১৫৫ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি অবস্থানে রয়েছে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়,যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০-এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়,যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫),এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে।এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে,ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো – ইটভাটা,যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
উল্লেখ্য,ঢাকার বাতাসের গুণগত মান প্রায়ই ‘অস্বাস্থ্যকর’ ও ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পর্যায়ে থাকে।তবে এর আগে গুণমানের উন্নতির ফলে ‘মধ্যম’ ও ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায়েও দেখা গিয়েছে।গত ১৪ জুলাই সকালে ঢাকার বাতাসের গুণগত মানের সূচক (একিউআই) স্কোর ৫৯ রেকর্ড করা হয়েছিল যা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায়ের বলে বিবেচিত।