চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর আসন্ন ঢাকা সফরে দেশটির কাছে ঋণ চাইবে না বাংলাদেশ। ওই সফরে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হতে পারে দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে। বিশেষ গুরুত্ব পাবে রোহিঙ্গা ইস্যু।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, আগামী শনিবার সন্ধ্যায় বা রবিবার সকালে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আগামী রবিবার সকালে তাঁর সাক্ষাতের সময়ও নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে ওই দিনই ঢাকায় থাকার কথা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্তর্জাতিক সংস্থাবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিশেল জে সিসনের। তিনি গত ২ আগস্ট থেকে ৯ দিনব্যাপী ভারত, বাংলাদেশ ও কুয়েত সফর শুরু করেছেন।
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গতকাল বুধবার ঢাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, একই সময় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সফরের কোনো যোগসূত্র নেই। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর নিয়ে কাজ চলছে। এখনো সব কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
বাংলাদেশ যখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণ চাচ্ছে, তখন চীনের আগ্রহে সফরটি হচ্ছে। এ সফরে কোনো বার্তা আছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এলে বোঝা যাবে কী বার্তা? তবে তিনি এ অঞ্চল সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে আসছেন। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সম্পৃক্ততা, খতিয়ে দেখার সুযোগ হবে এ সফরে। এ ছাড়া কিছু সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রস্তাব আছে। সেগুলো চূড়ান্ত হলে স্বাক্ষর হতে পারে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, চীনের কাছ থেকে এবার কোনো ঋণ চাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশের বিবেচনায় নেই।
সচিব বলেন, তাঁর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির বৈঠক আছে। গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে বৈঠকগুলো হয়েছে সেগুলোর ধারাবাহিকতায় আলোচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বহুমাত্রিক সম্পর্কের অনেক দিক নিয়েও আলোচনা হতে পারে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে।
র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আগে থেকেই তিনি পরিচিত। তাই অনেক বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হতে পারে।