সুস্থ শিশু পেতে গর্ভবতী মায়ের যত্ন নেওয়া অত্যাবশ্যকীয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, গর্ভবতী মায়ের অন্তত চারবার অ্যান্টিনেটাল চেকআপ বা প্রসব-পূর্ববর্তী সেবা নেওয়া উচিত।
চেকআপের সময়সূচি
প্রথমবার-চার মাস বা ১৬ সপ্তাহের মধ্যে (যত তাড়াতাড়ি সম্ভব)
দ্বিতীয়বার-ছয়-সাত মাস বা ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহে
তৃতীয়বার-আট মাস বা ৩২ সপ্তাহে
চতুর্থবার-৯ মাস বা ৩৬ সপ্তাহে
প্রতি চেকআপে রোগীর ইতিহাস নেওয়া হয়, শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেমন-রক্তচাপ, বাচ্চার বৃদ্ধি ও হার্টবিট চেক করা হয় এবং হিমোগ্লোবিন, প্রস্রাব ও আলট্রাসাউন্ড ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য ল্যাব পরীক্ষা করা হয়।
শেষ ধাপের জন্য জরুরি ‘বার্থ প্ল্যানিং’।
বার্থ প্ল্যানিংয়ের মধ্যে কয়েকটি বিষয় পড়ে—
♦ কে ডেলিভারি করাবে-ডাক্তার/দক্ষ কেউ
♦ কোথায় করাবে-হোম/হসপিটাল
♦ ট্রান্সপোর্ট-গাড়ি/ রিকশা/ নৌকা
♦ ডোনার-রক্ত লাগলে কে দেবে
♦ টাকা-পয়সা-সারা প্রেগন্যান্সিতে একটু একটু করে জমানো
এই ব্যাপারগুলো মাথায় রেখে ডেলিভারি পরিকল্পনা করলে প্রয়োজনের সময় প্যানিক লাগে না। ঠিকঠাকমতো আগানো যায়। বার্থ প্ল্যানিং খুব জরুরি। প্রসব-পূর্ববর্তী সেবার সঙ্গে সঙ্গে প্রসবকালীন এবং প্রসব-পরবর্তী সেবাও জরুরি।
যা মনে রাখবেন
নরমালে হোক আর না হোক-চেকআপ জরুরি। হাসপাতালে ডেলিভারি জরুরি। একজন প্রসূতি বিশেষজ্ঞ দেখেশুনে যদি মনে করেন, এই রোগীর নরমাল ডেলিভারি সম্ভব, তাহলেই তাঁর তত্ত্বাবধানে অথবা নরমাল ডেলিভারি করতে পারেন, এমন একজন দক্ষ স্কিল বার্থ অ্যাটেনডেন্ট থাকলে, নরমাল ডেলিভারি করা যায়। হসপিটালে ডেলিভারি উত্তম। সব ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করলে হোম ডেলিভারিও করা যায়। পৃথিবীতে নরমাল ডেলিভারির মতো নরমাল আর কিছু নেই, আবার অ্যাবনরমাল ডেলিভারির মতো অ্যাবনরমাল আর কিছু নেই। যেকোনো সময় একটা থেকে আরেকটা হতে পারে। মানে নরমাল থেকে অ্যাবনরমালে টার্ন নিতে পারে। কারো পক্ষেই সম্ভব নয় প্রেডিক্ট করা কোনটা নরমাল থাকবে, কোনটা অ্যাবনরমাল হবে। কাজেই রেগুলার অ্যান্টিনেটাল চেকআপ, হসপিটাল ডেলিভারির বিকল্প নেই।