গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। এরই মধ্যে ইউক্রেনের বেশ কিছু অঞ্চল দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে কোনও কোনও জায়গায় রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। কিন্তু যুদ্ধের নিয়ম মানছে না ইউক্রেন। আর তা নিয়ে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে এক হাত নিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সংস্থাটির এ রিপোর্টকে রাশিয়ান প্রচারণা এবং বিভ্রান্তিকর বলে আখ্যায়িত করেছে কিয়েভ। অ্যামনেস্টি রিপোর্ট নিয়ে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি একটি ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে সাধারণ ক্ষমা’ করার চেষ্টা করছে। মূলত ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ শব্দটি তিনি প্রায়শই রাশিয়ার জন্য ব্যবহার করেন।
অ্যামনেস্টির রিপোর্টের জবাবে স্পষ্টভাবে উত্তেজিত হয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘এমন কোনো শর্ত নেই, এবং হতেও পারে না, এমনকি অনুমানগতভাবেও, যার অধীনে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার যেকোনো আক্রমণ ন্যায়সঙ্গত হয়ে যায়।’
এর আগে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ইউক্রেন সর্বদা যুদ্ধের নীতি মানছে না। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় তারা বেসামরিক মানুষকে লড়াইয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ‘সাধারণ জনগণকে ঢাল বানানো হচ্ছে’- এমন কথা সরাসরি না বললেও অ্যামনেস্টির ইঙ্গিত তেমনই। এর ফলে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে তাদের দাবি।