প্রথিতযশা চিকিৎসক, শিক্ষক এবং মানবহিতৈশী ডাঃ বি এম আতিকুজ্জামানকে বাংলাদেশ এবং প্রবাসে বাংলাদেশীদের স্বাস্হ্য সেবা, স্বাস্হ্য শিক্ষা ও জনহিতকর কাজের জন্য “দেশরত্ন” পদক প্রদান করা হয়েছে।
সামাজিক সংগঠন কারিগরের নবম বর্ষপূর্তির এক আনাড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে এ পদকটি তার হাতে তুলে দেন আমেরিকার বাংলাদেশ এ্যাম্বেসির কলসাল জেনারেল জনাব ইকবাল আহমেদ।
ডাঃ বি এম আতিকুজ্জামান ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ড শহরে সপরিবারে বসবাস করলেও বাংলাদেশী ডায়োস্পরার একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি। তিনি একজন বিখ্যাত পরিপাকতন্ত্র এবং লিভার বিশেষজ্ঞ হিসেবে ডাইজেষ্টিভ এন্ড লিভার সেন্টার অফ ফ্লোরিডার পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন । একই সাথে ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার কলেজ অফ মেডিসিনের তিনি একজন ফাউন্ডার ফ্যাকাল্টি।
প্রায় দীর্ঘ তিন যুগ ধরে আমেরিকায় বসবাস করলেও তিনি বাংলাদেশে চিকিৎসা বিজ্ঞান খাতে শিক্ষা ও কারিগরি জ্ঞান বিকাশে সহায়তা করে আসছেন।
নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশী ডাক্তারদের সবচেয়ে কার্যকর সংগঠন “প্লানেটরি হেলথ একাডেমিয়ার” বর্তমান চেয়ারম্যান তিনি। এ সমগঠনটি বাংলাদেশে চিকিৎসকদের সাথে যৌথ সহযোগীতায় আধুনিক স্বাস্হ্য শিক্ষা, প্রযুক্তি সরবরাহে অভূতপূর্ব কাজ করছে। দেশে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট, ক্যান্সার চিকিৎসা, অত্যাধুনিক হার্ট সার্জারী, গবেষনার ক্ষেত্রে তারা বিশাল অবদান রাখছে। তরুন চিকিৎসকদের বিশেষ স্কলারশীপ প্রদান করে তাদের পৃথিবীর বিখ্যাত হাসপাতালে প্রশিক্ষন নেবার ব্যাবস্থা করছেন তারা।
ডাঃ আতিকের সেন্টারে তিনি গত দু যুগ ধরে তরুন বাংলাদেশী ডাক্তারদের প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা করেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে তাদের সংগঠনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গ্লোবাল হেলথ কেয়ার সামিট, কর্মশালা ও কোর্সের ব্যাবস্থা করেন যেখানে দু’হাজারেরও বেশী বাংলাদেশী চিকিৎসক অংশগ্রহন করেন।
ডাঃ বি এম আতিকুজ্জামান ২০২০ সালে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশে বসবাসরত প্রবীন আত্নীয়স্বজনদের চিকিৎসার জন্য “ক্লিক হেলথ সার্ভিস” নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পিছনেও অবদান রেখেছেন।
কোভিডকালিন সময়ে বাংলাদেশে এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য তার অসামান্য অবদানের জন্য টাইম টেলিভিশন তাকে বিশেষ পদক প্রদান করে।
ডাঃ বি এম আতিকুজ্জামান একজন লেখক, পরিব্রাজক এবং সমাজসেবক। তিনি বিভিন্ন প্রচারমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বাস্থ্য শিক্ষার জন্য অবিরাম কাজ করছেন।
ডাঃ বি এম আতিকুজ্জামানের স্ত্রী ডাঃ তাহসিনা ইয়াসমিন তাকে সর্বতোভাব সহযোগীতা করেন। তাদের দু সন্তানও চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়াশুনা করছে তাঁদেরই পথ ধরে।