তানজিন তিশা। তারকা অভিনেত্রী ও মডেল। সম্প্রতি বেশ কিছু নাটক, টেলিছবি ও বিজ্ঞাপনে কাজ করে দর্শক-প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এ সময়ের ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তাঁর সঙ্গে-
সম্প্রতি ‘রিকশা গার্ল’, ‘চিংকি পিংকি’, ‘লোহার তরী’, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত বিয়ে’সহ আরও কিছু নাটক, টেলিছবি ও ওয়েব সিরিজ দর্শক-প্রশংসা পেয়েছে। একই সময়ে আপনার এত কাজ দর্শকের সাড়া পাবে ভেবেছিলেন?
এখনকার বেশিরভাগ কাজ যাচাই-বাছাই করে হাতে নেওয়া। যেগুলোর গল্প পড়ে মনে হয়েছে, দর্শকের ভালো লাগতে পারে। তারপরও নিজের ধারণা সব সময় সত্যি হবে- এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। কারণ, দর্শকের ভালো লাগা, মন্দ লাগা একেকজনের একেক রকম। তাই নানা রকম গল্পে কাজ করলেও দেখে নিই, সেখানে কোনো বিষয় অতিরঞ্জিত করে তোলা হয়েছে কিনা। এরপর চেষ্টা করি, অভিনয় দিয়ে চরিত্র বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার। এত কিছুর পর যখন দর্শক বলে, তাঁদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, তখনই সব চেষ্টা সফল মনে হয়।
এই প্রথম রেকর্ড সংখ্যক নাটক, টেলিছবিতে দেখা গেল। গল্প, চরিত্র বেছে এত কাজ কীভাবে করলেন?
কাজ বছরের বিভিন্ন সময় করলেও দেখা যায়, বেশিরভাগ নাটক, টেলিছবি ঈদে প্রচার হচ্ছে। অনলাইনে রিলিজেও ঈদ প্রাধান্য পাচ্ছে। সে কারণে একই সময়ে এত টেলিছবিতে দেখা গেছে।
ছোট পর্দার পাশাপাশি আপনাকে কখনও কি বড় পর্দায় দেখা যাবে?
সিনেমার নায়িকা হতে চাইলে অনেক আগেই হতে পারতাম। প্রস্তাবও পেয়েছি অনেক। কিন্তু নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছি সব সময়। সিনেমায় আগ্রহ নেই- এটা বলব না। আছে, তবে সিনেমার জন্য চাই ভালো গল্প। এটুকু আশ্বাস দিতে পারি যে, কাঙ্ক্ষিত গল্প ও চরিত্রে কাজের সুযোগ পেলে সিনেমায়ও দেখাতে পারব।
নাচ দিয়ে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু হয়েছিল। এখন নাচের আয়োজনে কম দেখা যায়, কারণ কী?
নাচের প্রতি ভালো লাগা এখনও আছে। কিন্তু নাচের আয়োজন তো সেভাবে চোখে পড়ে না। জানি না, এ বিষয়টা কেন এতটা অবহেলিত। তবে যখনই সুযোগ আসে, নাচের কোনো না কোনো আয়োজনে অংশ নিই। গত ঈদে বিটিভির ‘তারার মেলা’ অনুষ্ঠানে কোলাজ গানের নাচে অংশ নিয়েছিলাম। দর্শকের সাড়াও পেয়েছি অনেক।
নৃত্যশিল্পী, মডেল নাকি অভিনেত্রী পরিচয়কে বড় করে দেখেন?
নাচ ও মডেলিং- দুটির প্রতি অসম্ভব ভালো লাগা আছে। তবে অভিনেত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে ভালো লাগে। কারণ শুরুতে যা শখ ছিল, সেই অভিনয় এখন নেশায় পরিণত হয়েছে।