তেলের দাম আজ রাত বারোটা থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রামের প্রত্যেক পেট্রোল পাম্পে যানবাহনের জট লেগে গেছে।
মোটরসাইকেলে অকটেন নিতে আসা রাজু বলেন, এত বেশি জট বলার মতো না । মূলত পেট্রোল পাম্প মালিকরা খুবই ধীরগতিতে তেল দিচ্ছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তেলের দাম এখনো বাড়িয়ে নিচ্ছেন না। তবে পেট্রোল পাম্প মালিকরা ধীরগতিতে তেল দেওয়ার ব্যাপারে অস্বীকার করেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে দেশে জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
এ হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেলের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৪ টাকা লিটার। কেরোসিন ১১৪ টাকা লিটার। অকটেন ১৩৫ টাকা লিটার ও পেট্টোল ১৩০ টাকা লিটার হবে। শুক্রবার রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় আমজনতার স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়।
যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করে নাই। অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই কিছুটা এডজাস্টমেন্টে যেতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃবিবেচনা করা হবে।
বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি ২২ থেকে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রয়ে (সকল পণ্য) ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।
বর্তমানে, আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখাতে মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়