অতিরিক্ত গরম ও ঘামের ফলে শরীরে দেখা দিচ্ছে পানিশূন্যতা।ক্লান্তিবোধ,ত্বক ও মুখে শুষ্কতা,গাঢ় রঙের প্রস্রাব,মনোযোগের ঘাটতি,মাথা ব্যথা,কোষ্ঠকাঠিন্য,খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাওয়া এসবই পানিশূন্যতার লক্ষণ।
পানিশূন্যতা রোধে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যা রাখবেন—
বিশুদ্ধ পানি : শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে দৈনিক অন্তত আট গ্লাস পানি পান করার কোনো বিকল্প নেই।খেয়াল রাখুন,পানি যেন বিশুদ্ধ ও জীবাণুমুক্ত হয়।
শসা : গরমের ঘেমে গিয়ে হাঁপাতে থাকলে শসা খেয়ে নিন।শরীর ঠাণ্ডা হবে। শসাতে থাকে ৯৬.৭ শতাংশ পানি। প্রতিবেলায় সালাদ হিসেবেও শসা খেতে পারেন।
টমেটো : টমেটোতে রয়েছে ৯৪.৫ শতাংশ পানি।এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’,লাইকোপেন,ক্যারোটিন, রিবোফ্লোবিন,ক্যালসিয়াম,লোহা ইত্যাদি থাকে।টমেটোর জুস কিংবা সালাদ দুই-ই সুস্বাদু।সাধারণত রান্নার পরও টমেটোর পুষ্টিগুণ কমে না।তাই এ সময় টমেটোর স্যুপ কিংবা ঝোল খেতে পারেন।
আপেল : আপেলে ৮৬ শতাংশ পানি থাকে।এতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য-আঁশ রয়েছে,যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।আপেলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বার্ধক্য বিলম্বিত করে এবং এর ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’ ত্বক সুন্দর রাখতে ভূমিকা রাখে।রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে আপেল সাহায্য করে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে।
দই : দইয়ে থাকে ৮৫ শতাংশ পানি।এর অণুজীবগুলোকে বলা হয় ‘প্রো বায়োটিক’, যা শরীরের জন্য খুব ভালো। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘বি’ ও ক্যালসিয়াম হাড় গঠন ও মজবুতে সহায়তা করে।
এ ছাড়া ফলের রস,ডাবের পানি,ডাল ও বেশি ঝোলের তরকারি রান্না করতে পারেন।তীব্র রোদের কারণে শরীর থেকে অনেক ঘাম বের হয়।এ সময় পানিতে গুলিয়ে স্যালাইন খেতে পারেন।খাওয়ার আগে অবশ্যই প্যাকেটের নির্দেশনা পড়ে নেবেন।