বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদের সহ সভাপতি ও আওয়ামী সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত তিন উপাচার্যের বহু অপকর্মের সহযোগী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত কর্মকর্তা এস এম আতিয়ার রহমান ভোল পাল্টে আবার তৎপর হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ কর্মকর্তারা।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এস এম আতিয়ার রহমান তার চাটুকারিতার বদৌলতে গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে নিয়োগপ্রাপ্ত তিন ভিসির কাছ থেকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নেওয়ার ধারাবাহিকতায় জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক পদে স্থায়ী নিয়োগ নেন। ঐ পদে থেকে তিনি অবসরে যাওয়ার পরও গত এক বছর নির্লজ্জের মতো পুরাতন দপ্তরে এসে জুনিয়রের সামনে বিভিন্ন ফরমায়েসি কাজ করেন। এ অবস্থায় আওয়ামী সরকারের পতন হলেও ভিসিকে পদত্যাগ না করা এবং এ ব্যাপারে ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে ভিসির পক্ষে মাঠে নামানোর প্রধান কারিগর এই আতিয়ার রহমান। তারপরও বাস্তবতা মেনে ভিসি মাহমুদ হোসেন পদত্যাগ করার পর এখন নতুন মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন দুর্নীতির নানা অভিযোগে অভিযুক্ত এই অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
খুবি সূত্র আরও জানায়, অত্যন্ত সুচতুর আতিয়ার রহমান গত এক সপ্তাহ যাবৎ প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অবস্থান করে তদবিরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সম্ভাব্য ভিসির ঘনিষ্টদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন এবার জনসংযোগে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে। এমনকি বিনা বেতনে কাজ করার সুযোগ দেয়ারও প্রস্তাব দিয়েছেন এই সুচতুর আতিয়ার রহমান। সম্ভাব্য ভিসি ড. রেজাউল করিমের সাথে তার পারিবারিক সম্পর্ক বলেও প্রচার চালাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদের এই দাপুটে নেতা।
এব্যাপারে খুবির অর্থ ও হিসাব বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এস এম আতিয়ার রহমানের দুর্নীতি ও অনিয়মের স্বাক্ষী তার সময়ে জনসংযোগে বিভিন্ন মুদ্রণ কাজের বিল। তিনি এক লাখ টাকার কাজ দুই থেকে তিন লাখ টাকায় বিল পরিশোধ করে বিশেষ সুবিধা নিয়েছেন। এব্যপারে তদন্ত কমিটি করা হলে তার পেনশনের টাকা নিয়ে বাড়ি যাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
জনসংযোগ বিভাগের এক জুনিয়র কর্মকর্তা জানান, কাজ না করে বিলের টাকা আত্মসাতের ঘটনাও ঘটেছে। যারা তার এই কাজে সহযোগিতা করেনি তাদের নানা অপবাদ দিয়ে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে এই দপ্তর থেকে।