পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার হাট-বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার নিকট থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগিরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
হাট-বাজারে আসা স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মিয়াপুর-বনগ্রাম,চতুরহাট, কাশিনাথপুর,আর-আতাইকুলা, ধুলাউড়ি প্রভৃতি হাটে ইজাদাররা ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করছে।গত শুক্রবার উপজেলার ধুলাউড়ি হাটে গিয়ে দেখা যায়, ইজারাদাররা তাদের লোকজন দিয়ে হাটে প্রতিমণ পিয়াজে থেকে আধা কেজি ও ধান প্রতিমণে আধা কেজি করে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অতিরিক্ত টোল আদায় করছে বলে দাবি করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।ধুলাউড়ি গ্রামের আব্দুস সামাদ জানান, আজ হাটে এক মণের একবস্তা ৪২ কেজি পিয়াজ আনতে হয়েছে। কারণ হিসেবে বলেন, আড়তদারদের জন্য এক কেজি, আধা কেজি টোল আদায়কারীদের জন্য। ওজনে যদি একটু কম হয় তাহলে আর কেজির দাম বাদ দিতে হয়। তিনি দুঃখ করে বলেন, বর্তমান কেজি পিয়াজের দাম ১০০ টাকা। এক কেজি পিয়াজ দিলে আমাদের কি থাকবে?আরও কয়েকজন পিয়াজ বিক্রেতা জানান, কাচা পিয়াজের সময় এক কেজি ধলতা দেওয়ার স্থলে ২ কেজি করে নিয়েছে। এখনও শুকনা পিয়াজ হাটে আনলে প্রতিমণে ১ কেজি করে ধলতা দিতে হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিমণে আধা কেজি টোল আদায় করছে হাটের ইজারাদারের টুকড়ি বাহিনীরা। এ ব্যাপারে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট মোখিক ও লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও তারা একইভাবে অতিরিক্ত টোল আদায় করছে।হাটের আড়তদারা বলেন, প্রতিমণে সাড়ে ৬ টাকা করে খাজনা দিয়ে আসছি। আমাদের জানা নেই বিক্রেতার নিকট থেকে খাজনা নেওয়া যাবে কি না। তবে ইজারাদারের লোকজন পিয়াজ ও ধান হাট থেকে প্রতিমণে আধা কেজি করে অতিরিক্ত টোল আদায় করছে।এ ব্যাপারে ধুলাউড়ি হাটের ইজাদার জরিফ আহমেদ জানান, আমরা সরকারি বিধি মোতাবেক খাজনা আদায় করছি। আমার পূর্বে যারা ইজারাদার ছিলেন তারা যে নিয়মে খাজনা আদায় করেছে আমার লোকজন সেই নিয়মে আদায় করছে।উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হতো। তবে ইজারাদারের লোকজন সরকারি নিয়মানুয়াযী খাজনা আদায় না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।