আজ মঙ্গলবার শিল্পকলায় মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে প্রাচ্যনাটের ২৭তম প্রযোজনা ‘বনমানুষ।’ ইউজিন ও’নীল-এর রচনায় নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন বাকার বকুল।
নাটকের গল্পে দেখা যায়, জাহাজের খোলের ভেতর দাঁড়িয়ে ইঞ্জিনের চুল্লিতে কয়লা ভরে কয়েকজন শ্রমিক। তাদেরই অন্যতম হচ্ছে ইয়াংক। দেখতে প্রায় বনমানুষের মতো। কালিকুলি মাখা অবস্থায় তাকে আরো বন্য মনে হয়। মিলড্রেড ডগলাস, পুঁজিপতির আদুরের কন্যা, যে পুঁজিপতি আবার এ জাহাজের পরিচালকমন্ডলীর অন্যতম। ডগলাস এ জাহাজের যাত্রী। সে একবার জাহাজের খোলো নেমে ইয়াংককে দেখে ভয়ে চিৎকার দেয়। ইয়াংক যখন বুঝতে পারে যে, তাকে উপলক্ষ করেই এই চিৎকার, তখন তীব্র একটা ঘৃণাবোধ জন্ম নেয় তার মধ্যে। ডগলাসকে কেন্দ্র করেই সারা দুনিয়ায় পুঁজিপতিদের ঘৃণা করতে থাকে সে। ভাঙতে চায় পুঁজিপতিদের ‘স্বর্গ’ তুল্য প্রাসাদ। জাহাজ বন্দরে ভিড়লে সে শহরে ঘুরতে বের হয় তার এক সঙ্গী নিয়ে। শহরের জৌলুস ও উচ্চবিত্তের জাঁকজমক তাকে ক্ষিপ্ত করে তোলে। নানা রকম পাগলামি প্রকাশ পায় তার মধ্যে। শেষে সে জেলে প্রেরিত হয়। জেল থেকে পালিয়ে সে সরাসরি চিড়িয়াখানায় বনমানুষের খাঁচার কাছে গিয়ে জন্তুটাকে ডাক দেয়। তার নিজের সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য। শেষে বনমানুষের আক্রমণে নিহত হয় সে। ‘বনমানুষ’ প্রসঙ্গে বাকার বকুল বলেন, নাটকটির নির্দেশনার কাজ করতে গিয়ে সব সময় আমার কাছে মনে হয়েছে এ জাহাজটা যেন জাহাজ নয় একটি পৃথিবী। যে পৃথিবীতে শ্রেণিবৈষম্য বেড়েই চলেছে এবং এমন সীমাহীনতায় পৌঁছেছে, যেখানে দিনমজুর মানুষগুলোকে ওপরতলার মানুষেরা অসভ্য জানোয়ার বলে মনে করছে।
আজ সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমি পরীক্ষণ থিয়েটার হলে নাটকটি মঞ্চস্থ হবে।