এক ব্যক্তির সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে বেজায় চটে যান বাবা।মেয়েকে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা চালানোরও অভিযোগ উঠেছে ওই বাবার বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে একজন স্বাস্থ্যকর্মীকেও নিয়োগ করেছিলেন মেয়েটির বাবা।যদিও তার এই চেষ্টা সফল হয়নি।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা,স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পুলিশ বলছে,ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাটের কাঁকরখেদা এলাকার ওই ব্যক্তি মেয়ের সাথে জিমনেসিয়াম কোচের সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি।গত ২৭ জুলাই ১৭ বছরের মেয়ে বানর তাড়াতে গিয়ে পড়ে যাওয়ার পর স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়।তিন দিন পরে তাকে পাশের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।সেখানেই গত শনিবার মেয়ের শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
অভিযোগ উঠেছে,মেয়েকে মেরে ফেলার জন্য হাসপাতালের একজন কম্পাউন্ডারের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত ব্যক্তি।ওই কম্পাউন্ডার আবার অভিযুক্তের প্রতিবেশী ছিলেন।বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলার জন্য কম্পাউন্ডারের সঙ্গে ১০ লাখ রুপির চুক্তি হয়।অগ্রিম হিসেবে এক লাখ রুপি দেওয়া হয়।
পরিকল্পনা অনুসারে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েকে বিষাক্ত ইনজেকশন দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই কম্পাউন্ডার।তাকে এই কাজে সাহায্য করার অভিযোগে হাসপাতালের আরো দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত বাবাকেও।
জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত কম্পাউন্ডার নিজের দোষ স্বীকার করেছেন।অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি বিষাক্ত ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে।সেই সঙ্গে নগদ ৯০ হাজার রুপি উদ্ধার করা হয়েছে।এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজন নার্সকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।হত্যার চক্রান্ত যেন জানাজানি না হয়,সে জন্য ওই নার্সকে এক লাখ রুপি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ (হত্যাচেষ্টা) এবং ৩২৮ (স্বেচ্ছায় ক্ষতি সাধন) ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।এদিকে অভিযুক্ত বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে,তার অসম্মতি সত্ত্বেও মেয়ে ওই জিমনেসিয়াম কোচের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি।সে জন্য মেয়েকে হত্যার জন্য প্রতিবেশী কম্পাউন্ডারের সাহায্য নিয়েছিলেন তিনি।
হাসাপাতালে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়।বর্তমানে মেয়েটি সুস্থ এবং বিপদমুক্ত বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।