পরিদর্শনের নামে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন দেশের প্লাস্টিক খাতের উদ্যোক্তারা।সোমবার এফবিসিসিআইতে অনুষ্ঠিত প্লাস্টিক,রাবার,মেলামাইন ও পিভিসি পণ্যবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে তাঁরা এমন দাবি জানান।এফবিসিসিআইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে বক্তারা বলেন,পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টার অগ্নিদুর্ঘটনার পর থেকে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে কোনো প্রকার লাইসেন্স নবায়ন করা হচ্ছে না।এ কারণে সব ধরনের আইনি শর্ত মেনে যেসব বৈধ কারখানা চালু হয়েছিল,সেগুলো অবৈধ হয়ে যাচ্ছে।আর এ সুযোগে সরকারি সংস্থাগুলো পরিদর্শন ও অভিযানের নামে প্রায়ই বিভিন্ন কারখানাকে জরিমানা ও মামলা করছে।এসব ভোগান্তির কারণে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বৈঠকে ব্যবসায়ীরা জানান,সরকারের পক্ষ থেকে প্লাস্টিক পল্লি স্থাপনের কথা থাকলেও এ ব্যাপারে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।তাই পুরান ঢাকার কারখানাগুলো স্থানান্তরের সুযোগও তৈরি হয়নি।প্লাস্টিক পল্লি স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়নের দাবি জানান তাঁরা।
বৈঠকে প্রধান অতিথি এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু ২০২৩ সাল নাগাদ মহামন্দার বৈশ্বিক পূর্বাভাসের কথা উল্লেখ করে বলেন,মন্দা মোকাবিলার জন্য রপ্তানি আয় বাড়াতে হবে।সে জন্য প্লাস্টিক খাতের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী জানান,রপ্তানি বাড়াতে ভারতের কলকাতা,গৌহাটি ও ত্রিপুরায় তিনটি মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে এফবিসিসিআই।কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ আবু মোতালেব বলেন,প্লাস্টিক খাত শুরু থেকেই নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে।কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ জানান,বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।এ চ্যালেঞ্জ সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারলে বিশ্ববাজারের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারবে বাংলাদেশ।