যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও তাঁর পরিষদের উপদেষ্টাদের পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় লন্ডনের একটি হল রুমে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ফখরুল ইসলাম মধুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ খান ও যুগ্ম সম্পাদক জামাল খানের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জান চৌধুরী।
তিনি বলেন, সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যাকে ধরেন ছাড়েন না। তাঁকে চলে যেতে বাধ্য করে যারা অন্তর্বর্তী সরকার নামে সরকার গঠন করেছে তাদের বিচার হবে। সুদখোর ইউনুস ও তার সহযোগীদের দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। এদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে।
যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাবেক এ সভাপতি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে এবং শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে দেশের যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে এই সংগঠনকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই লক্ষ্যকে সামনে নিয়েই অগ্রসর ভূমিকা পালন করবে যুক্তরাজ্য যুবলীগ। অতীতের ন্যায় যুক্তরাজ্য যুবলীগ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ভ্যান গার্ড হিসেবে কাজ করবে।’
ড. ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারকে অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক আখ্যায়িত করে তিনি আরও বলেন, ‘ড. ইউনুস একজন রক্তচোষা সুদখোর। এই সুদখোর, রাষ্ট্রদ্রোহী, মানবাধিকার হরণকারী ও গণহত্যাকারীর বিচার বাংলার মাটিতে হবে। ড. ইউনুসসহ তার অবৈধ উপদেষ্টারা যাতে দেশ থেকে পালাতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এরা যাতে পালাতে না পারে সেজন্য বিমানবন্দর ও স্থলবন্দর পাহারা দিতে হবে। এদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই হবে।’
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আয়োজি এ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সায়েদুর রহমান ফারুক, সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন, হরমুজ আলী, যুগ্ম সম্পাদক নইমুদ্দিন রিয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক কবি মাসুক ইবনে আনিস, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ তারিফ আহমদ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আনসারুল হক, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সহ-সভাপতি আফজল হোসেন, মো. ফিরোজ, নজরুল ইসলাম, মাহবুব আহমদ, আখতার আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক দিলওয়ার হোসেন লিটন, ফজলুর রহমান ফয়েজ, জুবায়ের আহমদ, মতবির আলী চুন্নু, হাফিজুর রহমান সেলিম, সৈয়দ শফিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ আলী, প্রচার সম্পাদক মো. আয়াছ, যুবলীগ নেতা দোলন আহমদ, দুলাল আহমদ, আহমদ চৌধুরী নাজিম, আওয়ামী লীগ নেতা রাজ্জাক মোল্লা, রফিক উল্লা, লন্ডন যুবলীগের সভাপতি তারেক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল হোসেন সুমন, ছাত্রলীগের সভাপতি তামিম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন জয় প্রমুখ।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী যুবলীগের বিভিন্ন শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।