কয়েকদিন ধরে তাইওয়ানের চারপাশ যে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীনের সেনাবাহিনী, তা আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বলে আশঙ্কা করছে তাইওয়ান। নিজেদের স্বাধীন বলে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উইয়্যু মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাজধানী তাইপেতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা জানান। খবর : রয়টার্স
সংবাদ সম্মেলনে উইয়্যু বলেন, গত কয়েকদিনের সামরিক মহড়ায় বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র প্রদর্শণী করেছে চীন। ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং তাইওয়ান সরকারের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সাইবার হামলাও চালিয়েছে। চীনের এসব কর্মকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী জনগণকে ভীতি প্রদর্শন ও তাদের মনোবল ভেঙে দেওয়া। কারণ, সামরিক মহড়ার আড়ালে আসলে তাইওয়ানে আগ্রাসন চালাতে চায় তারা। এমনকি তারা যদি সরাসরি অগ্রাসন না করে, সেক্ষেত্রে মহড়া শেষে তাইওয়ান প্রণালীতে আমাদের সার্বভৌম অধিকারে বিঘ্ন ঘটাতে পারে চীন।
পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে সফরের উদ্দেশ্যে গত ১ আগস্ট ওয়াশিংটন থেকে সিঙ্গাপুরে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। সিঙ্গাপুরে সফর শেষে তাইওয়ানের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে আসা চীন পেলোসির এই সফরের বিষয়ে দফায় দফায় আপত্তি ও সতর্কবার্তা দিয়েছিল। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেন পেলোসি।
গত ৪ আগস্ট থেকে তাইওয়ানের চারপাশের জলসীমায় নিজেদের ইতিহাসের বৃহত্তম সামরিক মহড়া শুরু করে চীন। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ৭ আগস্ট এই মহড়া শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়নি।
চীনের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের সামরিক মহড়া আজও অব্যাহত আছে। এই মহড়ায় চীনা সামরিক বাহিনীর নৌ ও বিমানবাহিনী অংশ নিচ্ছে।