খুলনার কপিলমুনির দখলদার ও লুটপাটকারী শাহাদাত হোসেন ডাবলুর অন্যতম সহায়ক খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার প্রধান সহকারী নাছিমুল হকের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সরকারি খাল দখল ও সংখ্যালঘুদের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দোকানপাট লুটপাটে প্রত্যক্ষ জড়িত ডাবলুর এই সহযোগী নাছিমের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের জন্য খুলনা জেলা প্রশাসককে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর এই তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় খুলনার সংস্থাপন শাখার উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর নাছিমুল হক গাজীর বিরুদ্ধে একটি দুনীর্তির অভিযোগ দায়ের করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মোতাবেক জেলা প্রশাসক খুলনাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
পরে জেলা প্রশাসক বিষয়টি খতিয়ে দেখতে খুলনা সহকারী কমিশনার ভূমি সদরকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
অভিযোগ আছে, নাছিম নিজের পদপদবির সুবাদে অবৈধ সম্পদ অর্জনে জড়িত বেশ কয়েকটি চক্রের অফিসিয়াল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফলে তাদের বিভিন্ন টেন্ডার ও রাজস্ব সংক্রান্ত কাজের অবৈধ অংশীজন হিসেবে নিয়মিত মাসোহারা পায়। এ ধরনের অনৈতিক কাজে যুক্ত থাকায় বাধ্য হয়ে অফিসের গোপনীয় নথিপত্রও তাকে সরবরাহ করতে হয় বলে জানা গেছে। এদিকে’ তার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশিত তদন্ত শুরু হওয়ায় সবচেয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে দখলদার শাহাদাত হোসেন ডাবলু। কারণ, সম্প্রতি পাইকগাছার কপিলমুনি এলাকার নাছিরপুর সরকারি খালের টেন্ডারে ডাবলুর ফাইল প্রস্তুত করা থেকে শুরু করে বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনে জড়িত নাসিম। সঠিক তদন্ত হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসার ভয়ে নাসিমের পক্ষে মাঠে নেমেছে ডাবলু। বিষয়টি নিয়ে খুলনার অফিসপাড়ায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাকার পানি কোথায় গড়ায় সে দিকেই এখন দৃষ্টি সবার। এমনটাই জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।