গেল মৌসুমটা রিয়াল মাদ্রিদ শেষ করেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে। নতুন মৌসুমটা শুরু করল ঠিক সেখান থেকেই। উয়েফা সুপার কাপে আইনট্র্যাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে হারিয়েছে ২-০ গোলে, জিতে ফেলেছে শিরোপা। এতে রিয়াল তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা আর এসি মিলানের রেকর্ডে ভাগ বসিয়ে ফেলেছে।
ইউরোপাজয়ী ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ম্যাচটা কঠিন হওয়ার কথা ছিল না রিয়াল মাদ্রিদের। প্রতিপক্ষের সাম্প্রতিক ফর্মটা যে কথা বলছিল না পক্ষে! বুন্ডেসলিগার শুরুর ম্যাচে ৬-১ ব্যবধানে হেরেছিল বায়ার্ন মিউনিখের কাছে। তাদের হারাতে তেমন বেগ পেতে হয়নি রিয়ালকে।
ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের একাদশটাই নামিয়ে দিয়েছিলেন কোচ কার্লো অ্যানচেলত্তি। দলে নতুন আসা অরলিয়েঁ চুয়ামেনি, অ্যান্টোনিও রুডিগারকে বেঞ্চেই রেখেছিলেন তিনি।
দলবদলে রিয়ালের সাড়াশব্দ নেই কেন, এই নিয়ে আলোচনা হয় বেশ। তবে তাদের কোনো খেলোয়াড় প্রয়োজন নেই, সেটা রিয়াল কোচ-সভাপতি জানিয়েছেন বেশ কয়েকবার। কেন দরকার নেই, তার প্রমাণই মিলেছে সুপার কাপে।
শুরু থেকে দারুণ ক্ষুরধার ছিল রিয়ালের পারফর্ম্যান্স। ১৫ থেকে ১৭ মিনিটে ফ্রাঙ্কফুর্টের দুটো আক্রমণ দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন থিবো কোর্তোয়া। রিয়ালও গোলের সুযোগ পেয়েছিল, তবে বেনজেমাদেরও হতাশ করেছেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক কেভিন ট্রাপ।
৩৭ মিনিটে অবশেষে ভাঙে গোলের বাঁধ। কর্নার থেকে সতর্ক ক্যাসেমিরোর হেডে বাড়ানো পাস থেকে গোল করেন ডেভিড আলাবা। সেই গোলে এগিয়েই বিরতিতে যায় রিয়াল। বিরতি শেষে রিয়ালের আক্রমণের ধার আরও বাড়ে। এরপর ৬৫ মিনিটে ভিনিসিয়াসের পাস থেকে কারিম বেনজেমার গোলে শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলে রিয়াল।
এই শিরোপাজয়ের ফলে সুপার কাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ শিরোপার রেকর্ড গড়ে ফেলল রিয়াল। এর আগে সবচেয়ে বেশি ৫ বার শিরোপা জেতার কৃতিত্ব ছিল বার্সেলোনা ও এসি মিলানের। সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন বেনজেমারা, এর আগে ২০০২, ২০১৪, ২০১৬, ২০১৭ সালে শিরোপা জিতেছিল দলটি।
এদিকে দলের রেকর্ডের রাতে নিজেও রেকর্ড গড়েছেন বেনজেমা। এদিন রিয়ালের জার্সি গায়ে ৩২৪তম গোলের দেখা পান তিনি। রাউল গনজালেসকে সরিয়ে তিনি বনে যান রিয়ালের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। তার আগে আছেন কেবল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, তার রিয়ালের হয়ে গোল ৪৫০ টি।